মৌসুমী ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কী, লক্ষণ ও প্রতিকার কী?

মৌসুমী ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কী, লক্ষণ ও প্রতিকার কী?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ জুলাই, ২০২৫ | ১০:৪৪ 23 ভিউ
মৌসুমী ফ্লু (seasonal flu) যা ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত, একটি ভাইরাসজনিত রোগ। যা সাধারণত শীতকালে বেশি দেখা যায়। কিন্তু এখন এই মৌসুমেও এর প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এ ও বি দ্বারা সৃষ্ট হয়। মৌসুমী ফ্লুর লক্ষণগুলোর মধ্যে- জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদসহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে। লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে-ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের রোগ; যা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা এবং কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শীতকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা আরও ব্যাপক হতে থাকে, কিন্তু এটি বছরের যেকোনো সময় সংক্রমিত হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন শিশুদের ও বয়স্ক মানুষদের। যাদের বয়স ৬৫ এর বেশি সঙ্গে কো-মরবিডিটিতে ভুগছেন যেমন- ডায়াবেটিস বা কিডনি বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই অবশ্যই শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কিছু মানুষের মধ্যে গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। নিজেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা, যা ফ্লু শট নামেও পরিচিত। ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেন (strain) শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং শরীর সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। টিকা নেওয়া থাকলে যদি কেউ ফ্লু ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে তখন ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। যদি কেউ ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেনের সংস্পর্শে আসেন, তবে ভ্যাকসিন সাহায্য করবে এবং লক্ষণগুলো কম গুরুতর হবে। শিশুদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ শিশুরা বেশি ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়ায় ভুগতে পারে। তাই টিকাদানের পাশাপাশি জীবাণুর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অনুশীলন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে উৎসাহিত করতে হবে। টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে তাদের কাশি এবং হাঁচির সঠিক শিষ্টাচার শেখাতে হবে। লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে-ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের রোগ; যা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা এবং কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শীতকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা আরও ব্যাপক হতে থাকে, কিন্তু এটি বছরের যেকোনো সময় সংক্রমিত হতে পারে। এ সময় আবার করোনা দরজায় কড়া নাড়ছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিড নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে, তার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প কোনো পথ নেই। মৌসুমী ফ্লু থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে এবং রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম হলে রোগব্যাধি হলেও সহজেই রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা সুস্থ থাকতে পারব। লেখক: ডা. আয়শা আক্তার উপপরিচালক, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফ্যানের গতি কমালে কি সত্যিই বিদ্যুৎ বিল কমে? সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ ৬ উপায় দুর্ঘটনায় দগ্ধদের উদ্দেশে তাসনিম জারার ৭ পরামর্শ মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন শুরু আজ স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কি না, ইসলাম যা বলে মৃত ব্যক্তির কপালে চুমু দেওয়া যাবে কি মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে কাঁদছে ক্রিকেটাররাও মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে শোকাহত সাকিব তারকাদের প্রার্থনায় মাইলস্টোন মুখ খুলেছেন আমির ওয়েব ফিল্মে মৌ সাইপ্রাস ভেঙে দুই রাষ্ট্র গঠনে জোর এরদোয়ানের জার্মানিতে কেমন আয় করেন অভিবাসীরা, যা বলছে গবেষণা আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর… মধ্যরাতে শিবির-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া বাবা বাঁচলেও শেষ রক্ষা হয়নি একমাত্র মেয়ের মুক্তিপণ দিয়েও নূরকে জীবিত পেল না পরিবার নিখোঁজ শিশু রাইসাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পরিবার দীর্ঘকালীন লোকসানে নিমজ্জিত ইউনিয়ন ক্যাপিটাল