কখনো ভাবিনি, এক বাক্স খাবারের জন্য মরতে হবে

কখনো ভাবিনি, এক বাক্স খাবারের জন্য মরতে হবে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ জুন, ২০২৫ | ১১:১৪ 18 ভিউ
গাজার আল-মাওয়াসির একটি তাঁবুতে থাকতেন ৩৬ বছর বয়সি খালেদ আল-লাহহাম। ১০ সদস্যের পরিবারের ভার ছিল তার কাঁধেই। ২৭ মে প্রথম দিন যখন ত্রাণের প্যাকেট পেয়েছিলেন তখন তার মনে আশার সঞ্চার হয়। এজন্য রোববার সকালে আবারও ছুটে যান দু’মুঠো খাবারের আশায়। বন্ধুদের সঙ্গে করে। কিন্তু এ দিন ঘটল এক বিভীষিকাময় ঘটনা। রাফাহর আল-আলম গোলচত্বরে ত্রাণকেন্দ্রের কাছে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই হঠাৎ গুলির শব্দ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। সে সঙ্গে মানুষের চিৎকার। আমার পায়ের ভেতর দিয়ে একটি গুলি চলে গেল, বললেন খালেদ। গাড়ি থেকে নামতেও পারছিলেন না খালেদ। পরে তার একজন বন্ধু ফিরে এসে হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। ‘আমি কখনো ভাবিনি, এক বাক্স খাবারের জন্য মরতে হবে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতর কণ্ঠে বললেন খালেদ। আলজাজিরা। অন্যদিকে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একটি তাঁবুর ভেতর বিছানায় শুয়ে আছে ১৩ বছরের ইয়াজান মুসলেহ। তার ক্ষীণ শরীরে একটি বড় সাদা ব্যান্ডেজ। গুলির চিহ্ন গা জুড়ে। পাশে বসে আছেন তার বাবা ইহাব। মুখে আতঙ্কের ছাপ এখনো স্পষ্ট। রোববারের সেই হামলায় আহত হয় ইয়াজানও। তারা খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা হেঁটে পৌঁছান রাফাহর সেই ত্রাণ কেন্দ্রে। ভিড় দেখে দুই ছেলেকে একটু দূরের উঁচু জায়গায় অপেক্ষা করতে বলেন ইয়াব। ইসরাইলের থাবা পড়ল সেখানেও। ইহাব বলেছেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই চারদিকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। আমি ছেলেদের দিকে তাকিয়ে দেখি ইয়াজান গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ইয়াজানকে। হাসপাতালের বিছানায় ইয়াজানের পাশে বসে তার ভাই ইয়াজিদ বলেছে, আমি আমার চোখের সামনে তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসতে দেখেছি। নাসের হাসপাতালের পাশের তাঁবুর আরেক শয্যাশায়ী মোহাম্মদ আল-হোমস। এ দিন তিনিও গিয়েছিলেন খাবার আনতে। তিনি বলেছেন, আমরা শুধু বাচ্চাদের জন্য খাবার আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ত্রাণকেন্দ্রে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ওরা আমাকে দু’বার গুলি করে। একবার পায়ে, আরেকবার মুখে। উল্লেখ্য, ২৭ মে থেকে গাজায় খাদ্য বিতরণ শুরু করে মার্কিন-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ৮ দিনে মার্কিন-সমর্থিত এই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০২ জন ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ছেলের বিরুদ্ধে মামলা, বিএনপি অফিসে রিনা খান অন্তর্বাস না পরলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় জামায়াত ইরান থেকে ৭০ বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে গায়ক নোবেলের সঙ্গে ইডেনের সাবেক শিক্ষার্থীর বিয়ে সম্পাদনের নির্দেশ ১৩ ছক্কায় যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাক্সওয়েলের ‘তাণ্ডব’ সব ছেড়ে আধ্যাত্মিকতায় জ্যাকুলিন, কে দেখালেন আলোর দিশা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম কোন কাজটি করেন আমির ‘হুঁশিয়ারির সময় শেষ, এবার শাস্তির পালা’: ইরানি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুকে চুরি হয়ে যাচ্ছে নতুন ভবনের মালামাল সুনামগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু বিদেশে গেল না আম, হতাশ ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত প্রকাশকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ দেখত হাসিনার সরকার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া ইসরাইলের আকাশসীমা দখলে নেওয়ার দাবি ইরানের এআই যুদ্ধের সূচনা, কতটা সফল হবে ডিপসিক? শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞে অনড় ইরান-ইসরায়েল তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ঘাটতি বাজেটের অর্থায়নই প্রধান সমস্যা