
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

অন্তর্বাস না পরলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নয়

‘হুঁশিয়ারির সময় শেষ, এবার শাস্তির পালা’: ইরানি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুকে

ইসরাইলের আকাশসীমা দখলে নেওয়ার দাবি ইরানের

ধ্বংসযজ্ঞে অনড় ইরান-ইসরায়েল

ইরান চায় “যুদ্ধবিরতি”; ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য “প্রকৃত সমাপ্তি”

জি-৭ নেতাদের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ: শান্তির আহ্বান

ইসরাইলের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক থাকার আহ্বান পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় ৪৯ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে ভারি বৃষ্টি ও তুষারঝড়ে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী রয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অস্কার মাবুয়ানে বলেছেন, ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে মথাতা শহরের একটি সেতু পার হওয়ার সময় একটি বাস পানির স্রতে ভেসে যায়। বাসে থাকা চার শিশু, চালক ও কন্ডাক্টরসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাবুয়ানে জানান, বাসটি পরবর্তীতে একটি নদীর পাড়ে পাওয়া গেলেও এর ভেতরে কেউ ছিল না। এখনো চার শিশুর খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা টিভি চ্যানেল নিউজরুম আফ্রিকাকে জানান, বাসচালকসহ আটজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা এসএবিসি জানিয়েছে, তিন শিশু জীবিত উদ্ধার হয়েছে—তারা গাছে উঠে বন্যার পানি থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিল।
জানা গেছে, বাসটিতে মোট ১৩ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে ১১ জনই স্কুলশিক্ষার্থী।
এছাড়া বুধবার সকালে প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মথাতা শহরের কাছে ডেকোলিগনি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, শত শত মানুষ ঘর হারিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
মাবুয়ানে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বন্যা শুরু হতেই যারা প্রতিবেশীদের সতর্ক করেছেন ও নিখোঁজদের খোঁজে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ‘
তিনি আরও জানান, ইস্টার্ন কেপের ৫৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে ওআর টাম্বো, আমাথোলি ও আলফ্রেড নজো জেলার তিনটি এলাকায়।
ইস্টার্ন কেপের পাশের প্রদেশ কোয়াজুলু-নাটালেও দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। সেখানে ৬৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনো কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি ও তুষারঝড়ের পাশাপাশি প্রবল বাতাসে গত মঙ্গলবার থেকে প্রায় ৫ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থা এসকম জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালুর চেষ্টা চলছে।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।