
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ভাঙা সড়কে ধানের চারা রোপণ, সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবকের কাণ্ড

বাঁশের সঙ্গে ‘নৌকা’ ঝুলিয়ে আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন প্রবাসী আতিক

২১ ঘণ্টা পর লিটনের মরদেহ ফেরত দিল ভারত

মেঘনায় ডুবে গেল ৭ বাল্কহেড, ১৩ জনকে উদ্ধার

র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবাকে মারধর
আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর…

বগুড়ার শেরপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া দহপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দায়ের করা একটি বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে তার বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যরা হামলা চালায়।
আসামি সিরাজুল ইসলাম উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
পুলিশ জানায়, অভিযানে নেতৃত্ব দেন শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরাফাত জামান। সঙ্গে ছিলেন কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম, মো. নূরনবী ও আইনুল হক। তারা সবাই হামলায় আহত হন। আহতদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪৮), ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে লিটন (৩৫) ও পুত্রবধূ কামরুন নাহার ওরফে রিমা (২৫)। তারা বর্তমানে থানা হেফাজতে আছেন।
সিরাজুল ইসলামের ভাতিজা মো. রাজু বলেন, পুলিশ চাচাকে ধরতে এসে তাকে পায়নি। তবে বাড়ির লোকজন হামলা করেছে কি না, তা আমি জানি না। পুলিশ আমার চাচি, চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়দের দাবি, সিরাজুল ইসলামের বাড়ি উঁচু প্রাচীর ঘেরা হওয়ায় ভেতরে কি ঘটেছে, তা তারা জানেন না। পুলিশের অভিযানের পর অতিরিক্ত বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।
শেরপুর থানার এসআই সরাফাত জামান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। বাড়ির চারপাশ ঘেরাও করে প্রবেশের সময় হামলার মুখে পড়ি। হামলাকারীরা সিরাজুলকে পালাতে সহায়তা করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক তিনজন এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।