নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান, আহত ১৫
সোমবার সমাবেশ ও আমরণ অনশনের ঘোষণা
ভুখা মিছিল শেষে শহীদ মিনারে ফিরে গেলেন শিক্ষকরা
শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার
আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
দাবি না মানলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
ইংরেজির ধাক্কায় ফল বিপর্যয়
শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
আজ শনিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সাজিদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সহপাঠী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং দুপুর ১২টায় প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় প্রশাসন ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘তুমি কে, আমি কে সাজিদ, সাজিদ’, এমন নানা স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সাজিদের মৃত্যু কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। প্রশাসন যদি দ্রুত স্বচ্ছ তদন্ত না করে, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বিক্ষোভে সংহতি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকেরা। তাঁরা শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে- সাজিদের মৃত্যুর দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রকাশ, পুরো ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনা, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাবেষ্টিত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট স্থাপন, বহিরাগত প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ।
এই দাবিগুলোকে সামনে রেখে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহিনুর জামানকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরদেহের নাক-মুখে রক্ত ও দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এসব দেখে শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, এটি নিছক পানিতে ডুবে মৃত্যু নয়, বরং ঘটনাটি রহস্যজনক এবং হয়ত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সাজিদের বাবা ও সহপাঠীরাও এ মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করে সঠিক তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।