
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সাইপ্রাস ভেঙে দুই রাষ্ট্র গঠনে জোর এরদোয়ানের

জার্মানিতে কেমন আয় করেন অভিবাসীরা, যা বলছে গবেষণা

পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ প্রসঙ্গে ইরানের সিদ্ধান্ত জানালেন আরাঘচি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ২৩ দেশের বিবৃতি

ঘুমের মধ্যেই ধর্ষণ- সাবেক এমপির স্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ

নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলেও পদত্যাগে রাজি নন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ জনকে গুলি করে মারল ইসরায়েল
মিসরে দানখয়রাতে চলছে গাজা শরণার্থীদের দিন

মিসরে দানখয়রাতে চলছে গাজা শরণার্থীদের দিন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অর্থের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কায়রোতে গাজার উদ্বাস্তুদের সাহায্যকারী এমন একজন স্বেচ্ছাসেবক আমিরা। তিনি খাদ্য ও সাহায্য প্যাকেজ পাঠানোর জন্য একটি স্থানীয় গ্রুপে যোগ দিয়েছিলেন। তারই মতো আরও একজন স্বেচ্ছাসেবক রায়া বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে মানুষ আমাদের কাছে তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য সাহায্য করার জন্য ভিক্ষা চায়। দ্য গার্ডিয়ান।
যুদ্ধ শুরুর প্রথম ৩৮ দিনে রায়ার গ্রুপ ৩০ হাজার ডলারের বেশি সংগ্রহ করেছে। যার বেশির ভাগই আবাসন এবং ওষুধের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা সম্মিলিতভাবে ১০০টি পরিবারের মধ্যে সহায়তা বিতরণ করেছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর মিসরে চলে আসা এমন একজন রানিয়া। কায়রোতে আসার জন্য তিনি তার সব গহনা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উত্তর গাজায় ভারী গোলাবর্ষণের পর জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসে তার পুরো পরিবার।
এরপর গাজায় আশ্রয় শিবিরে ছিলেন তারা। দীর্ঘ তিন মাস পর, তিনি সীমান্ত শহর রাফাহতে নিজের আংটি, সোনার ব্রেসলেট এবং নেকলেস বিক্রি করে ১৫ হাজার ডলার দিয়ে মিসরে আসতে হয় তাকে। বর্তমানে রানিয়া এবং তার পরিবার কায়রোতে একটি অ্যাপার্টমেন্টের জন্য খাবার এবং ভাড়া দেওয়ার জন্য তৃণমূল দাতব্য সংস্থার ওপর নির্ভর করছে। এটি তার পুরোনো জীবনের সম্পূর্ণ বিপরীত। রানিয়া বলেন, এর আগে তার স্বামী একটি সাহায্য সংস্থার জন্য কাজ করে ভালো বেতন পেতেন। তাদের দুটি বাড়ি, দুটি গাড়ি ছিল। তার সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। এখন সেগুলো সবই অতীত। রানিয়ার মতো এমন আরও অনেক পরিবার যুদ্ধের পর মিশরে আশ্রয় নিয়েছে। রানিয়া বলেন, ‘মিসরে জীবন সহজ নয়। আমরা এখানে থাকতে চাই না, তবে আমরা ছেড়েও যেতে চাই না। মাঝে মাঝে আমরা দেশত্যাগের কথা ভাবি। কিন্তু যখনই আমরা বিষয়টি নিয়ে আসি, আমরা সবাই আমাদের হৃদয়ে জানি যে আমরা কেবল গাজায় ফিরে যেতে চাই।’
মিসরীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ গাজা ছেড়েছে। এরপর থেকে বেশিরভাগই অন্য দেশে ভ্রমণ করেছে। কিন্তু স্বেচ্ছাকর্মীরা বলছেন ত্রাণ সাহায্যের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মিসরে আশ্রয় নিচ্ছেন। যদিও গাজা থেকে মিসরে ভ্রমণ প্রাথমিকভাবে একাধিক সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন মূল্য চার্জ করত। একক কোম্পানি সীমান্ত ক্রসিংয়ে একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য ৫ হাজার ডলার এবং প্রতিটি শিশুর জন্য ২৫০০ ডলার নিয়ে থাকে। একজন মিসরীয় অ্যাক্টিভিস্টের মতে, হালা কনসাল্টিং এবং ট্যুরিজম ‘এখন গাজা থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র উপায়’।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।