বাংলাদেশে ফিরে আসছেন রিশাদ-নাহিদ

বাংলাদেশে ফিরে আসছেন রিশাদ-নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ মে, ২০২৫ | ১০:৪৪ 29 ভিউ
ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনা প্রভাব ফেলেছে খেলাধুলার জগতেও। সবশেষ এর শিকার হলো পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। দুই দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে পিএসএল ২০২৫-এর বাকি ম্যাচগুলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশের দুই তরুণ ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। পিএসএলে খেলতে গিয়ে পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন তারা। তবে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাদের ফেরানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘোষণা দিয়েছিল, পিএসএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) সরিয়ে নেওয়া হবে। রিশাদ ও নাহিদও সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুবাই যাচ্ছিলেন। তবে অঞ্চলজুড়ে যেভাবে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে শেষ পর্যন্ত পিএসএল পুরোপুরি স্থগিত করে দেয় পিসিবি। এই অবস্থায় বিসিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। খেলোয়াড়দের নিরাপদে দেশে ফেরানোর জন্য বিসিবির পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুধু ক্রিকেটাররাই নয়, পাকিস্তানে ছিলেন দুইজন বাংলাদেশি সাংবাদিক মাহরুশ প্রত্যয় ও তাশফিক পলক। তাদের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিল বিসিবি। চার জনই এখন দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছেন। বিষয়টি এক ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস। অনেক বিদেশি ক্রিকেটারও পাকিস্তানে খেলার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। এতে চাপের মুখে পড়ে পিসিবি। প্রথমে ভেন্যু বদল, তারপর নিরাপত্তা শঙ্কা—সব মিলিয়ে আর টুর্নামেন্ট চালিয়ে নেওয়ার উপায় ছিল না। রিশাদ হোসেন পিএসএলে ভালো শুরু করেছিলেন। তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসাও হয়েছিল। নাহিদ রানা ছিলেন অভিষেকের অপেক্ষায়। কিন্তু মাঠের খেলায় ছন্দ পাওয়ার আগেই যুদ্ধের উত্তাপে থেমে গেল সব কিছু। কবে আবার শুরু হবে পিএসএল, তা কেউ জানে না। তবে আপাতত বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে সবচেয়ে বড় সুখবর—রিশাদ ও নাহিদ নিরাপদে বাড়ি ফিরছেন।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যে রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের উপরে শুধু গেইল মেয়েদের পুরস্কার দেবে বাফুফে বাবার জন্য দাবা, ছেলের কথা রাখলেন মা মা হতে চান জয়া আহসান ‘বেবিটা আমার বোনের’, গুজব নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা ঢালিউডে ছ’মাসে ২২ সিনেমা, কতটুকু ফুটলো আশার ফুল? ১৮৫ সিনেমার মহাতারকা শবনম, ২৫ বছর ধরে ভালো গল্পের অপেক্ষায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই