প্রাকৃতিক আজাব কখন, কেন হয়

প্রাকৃতিক আজাব কখন, কেন হয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ জুলাই, ২০২৫ | ১১:০৮ 13 ভিউ
মানুষের পাপাচার বেড়ে গেলে এবং ইমান-আমল কমে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব-গজব নেমে আসে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা রূম: ৪১)। মানুষের অবাধ্যতা, কুফরি ও পাপাচারের কারণে কখনো কখনো মহান আল্লাহ তাদের এসব দুর্যোগ দিয়ে সতর্ক করেন। অর্থাৎ জমিনে ও সমাজে মানুষের নাফরমানির ফলে বিভিন্ন বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। যেমন মহামারি, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প ইত্যাদি। জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা: হজরত নুহ (আ.)-এর কওমের অধিকাংশ লোক আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিল। আল্লাহ সতর্ক করার পরও তারা সতর্ক হয়নি। অবশেষে আল্লাহর আজাব নেমে আসে এবং ভয়ংকর প্লাবন ও জলোচ্ছ্বাস অবাধ্য লোকদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। হজরত নুহ (আ.)-এর নৌকায় যারা আশ্রয় নিয়েছিল, তারাই রক্ষা পেয়েছিল। আল্লাহ বলেন, ‘আমি তার (নুহের) বংশধরদের অবশিষ্ট রেখেছি বংশপরম্পরায়।’ (সুরা: সাফফাত, আয়াত: ৭৭)। মানুষ যখন আল্লাহর নাফরমানি থেকে ফিরে আসবে, মহান আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়ে দুর্যোগ থেকে নিস্তার দেবেন। ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত: মানুষের মন্দ কৃতকর্ম বজ্রপাতের অন্যতম কারণ। ঘূর্ণিঝড়, বিজলি-চমক ও বজ্রপাতের মাধ্যমে আল্লাহ মানুষকে সতর্ক করেন এবং এর মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। কোরআনে এসেছে, ‘বজ্র তারই তাসবিহ ও হামদ জ্ঞাপন করে এবং তার ভয়ে ফেরেশতারাও (তাসবিহরত আছে)। তিনিই গর্জমান বিজলি পাঠান, তারপর যার ওপর ইচ্ছা একে বিপদরূপে পতিত করেন। আর তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের) অবস্থা এই যে, তারা আল্লাহ সম্পর্কেই তর্কবিতর্ক করছে, অথচ তার শক্তি অতি প্রচণ্ড।’ (সুরা রাদ: ১৩)। আল্লাহর নাফরমানি, ব্যভিচার, পরকীয়া, অন্যায়-অত্যাচার যত বাড়বে, ততই দুনিয়ার বুকে বিভিন্ন ধরনের আজাব-গজব নাজিল হবে। ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি ও ভূমিধস: আল্লাহর পাঠানো অন্যতম কঠোর আজাব হলো ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি ও ভূমিধস। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন তোমাদের সাগরে বিপদ স্পর্শ করে, তখন তিনি ছাড়া যাদের তোমরা ডাকো, তারা (তোমাদের মন থেকে) হারিয়ে যায়; অতঃপর তিনি যখন তোমাদের রক্ষা করে স্থলে আনেন, তখন তোমরা বিমুখ হয়ে যাও। আর মানুষ তো খুব অকৃতজ্ঞ। তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গিয়েছ যে তিনি তোমাদেরসহ স্থলের কোনো দিক ধসিয়ে দেবেন না অথবা তোমাদের ওপর শিলা বর্ষণকারী বাতাস প্রেরণ করবেন না? তারপর তোমরা তোমাদের জন্য কোনো কর্মবিধায়ক পাবে না। অথবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গিয়েছ যে তিনি তোমাদের আরেকবার সমুদ্রে ফিরিয়ে নেবেন না, অতঃপর তোমাদের ওপর প্রচণ্ড বাতাস পাঠাবেন না এবং তোমাদের ডুবিয়ে দেবেন না, তোমরা কুফরি করার কারণে? তারপর তোমরা আমার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে কোনো সাহায্যকারী পাবে না।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৬৭-৬৯)। এসব আজাব-গজব থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে তওবা ও ইস্তেগফার করা এবং বেশি বেশি নেক আমল করা। আল্লাহ তওফিক দিন। লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষক

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সিরিজ জয়ের পর যা বললেন লিটন এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না বার্সার বাড়ি বিক্রি করলেন সালমান খান পশুপ্রেম থেকে পরিশুদ্ধ জীবনে মিমি চক্রবর্তী বিয়ে করছেন সেলেনা গোমেজ সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত! আলাস্কায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা গোপালগঞ্জের ঘটনায় ফেসবুকে ‘উপহাস’, এএসপি প্রত্যাহার প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাছের চারা পাহাড়ের মাটিতে রাম্বুটান, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ভারত সিরিজ স্থগিত, আগস্টের সূচি পূরণে নতুন দল খুঁজছে বিসিবি ট্রাম্পের উদ্দেশ্য শান্তি না বাণিজ্য ঘরে ঢুকে ২ নারীকে কুপিয়ে হত্যা বাড়ছে জাঙ্ক কোম্পানি, শঙ্কায় ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি খাদ্যপণ্যের মান যাচাই করেন দেশের পরমাণু বিজ্ঞানীরা আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি বৃষ্টিতে শিশুর যত্নে সহজ কিছু পরামর্শ এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত