
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর…

মধ্যরাতে শিবির-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

বাবা বাঁচলেও শেষ রক্ষা হয়নি একমাত্র মেয়ের

মুক্তিপণ দিয়েও নূরকে জীবিত পেল না পরিবার

নিখোঁজ শিশু রাইসাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পরিবার

ফেনীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রতীকী ‘গায়েবানা জানাজা’

খুলনায় বিষাক্ত মদপানে আরও ২ মৃত্যু, অসুস্থ কয়েকজন
ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে মোটরসাইকেলে আগুন

বরগুনায় ট্রাফিক পুলিশ ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশ সুপারের নিকট ক্ষমা চাইলে, তাকে ক্ষমা করে তার নিজ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে বরগুনা পৌরশহরের জিরো পয়েন্ট এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
মোটরসাইকেলের চালকের নাম নজরুল ইসলাম। তিনি বরগুনা পৌরশহরের উকিলপট্টির বাসিন্দা।
জানা যায়, নজরুল ইসলাম মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। রোববার মোটরসাইকেল বরগুনা নিয়ে জিরো পয়েন্ট থেকে পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বক্সের সামনে ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জন শাহাবুদ্দিন তাকে থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় গাড়ির কাগজ তার সঙ্গে নেই ও তার স্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে জানান নজরুল ইসলাম। বাসা কাছাকাছি হওয়ায় গাড়ির কাগজপত্র বাসা থেকে নিয়ে দেখালেও নজরুলের সঙ্গে হেলমেট না থাকার অপরাধে ট্রাফিক সার্জন একটি মামলা দেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলাম নিজের গাড়ির তেল ছেড়ে দিয়ে রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে দেন নজরুল। পরে উপস্থিত লোকজন পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আসে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ মোটরসাইকেলটি বরগুনা থানায় নিয়ে যায়। নজরুল ইসলামকে কিছুক্ষণ পুলিশ বক্সে আটক রাখার পরে পুলিশ সুপারের কাছে নেওয়া হয়।
কর্তব্যরত সার্জেন্ট শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি মাছ বাজারের সামনে দায়িত্বে ছিলাম। তখন হেলমেট ছাড়া চালককে যেতে দেখে মোটরসাইকেল থামাই। ওই চালক নজরুল ইসলামের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি কাগজ আনতে সুযোগ চান। পরে তার নাম-ঠিকানা রেখে কাগজ আনার সুযোগ দেওয়া হয়। কাগজপত্র নিয়ে এলে তাকে কাগজের কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। হেলমেটের জন্য তাকে মামলা দেওয়া হয়। এতে নজরুল ইসলাম রাগে ও ক্ষোভে তিনি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ খবর শুনে তার স্ত্রী ও ছেলে চলে আসেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। আমি ট্রাফিক পুলিশকে আমার সমস্যার কথা বলেছি। গাড়ির কাগজ বাসায় আছে। আমার কথা না শুনে আমার বিরুদ্ধে হেলমেট না থাকায় তিন হাজার টাকার একটি মামলা দিয়েছেন। আমি টাকার অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারি না। তার উপর তিন হাজার টাকার মামলা। এই কষ্টে মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছি। আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, তার স্ত্রী অসুস্থ এবং তিনি একজন রেন্ট-এ-কার চালক। তাছাড়া নিজের কর্মের জন্য অনুতপ্ত। তাই আমরা তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো আইনগত প্রক্রিয়ায় যাইনি। তিনি আমার বরাবর ভুল স্বীকার করে আবেদন করেছেন। মুচলেকা নিয়ে তাকে তার ওয়ার্ডের কমিশনারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তার মোটরসাইকেলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।