
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চুরি হয়ে যাচ্ছে নতুন ভবনের মালামাল

সুনামগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু

বিদেশে গেল না আম, হতাশ ব্যবসায়ীরা

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

প্রেমিকের খোঁজে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ৩

পুলিশ ডেকে প্রতিবেশীকে আটকের দাবিতে আত্মহত্যার চেষ্টা, গৃহবধূ গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ায় কৌশলে তামাক ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন নওফেল
চট্টগ্রামে চামড়া বিক্রি শুরু, লাভ নিয়ে শঙ্কায় আড়তদাররা

চট্টগ্রামের আড়তগুলোতে কুরবানির পশুর কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে ঢাকার কয়েকজন ট্যানারি মালিক চট্টগ্রামের বিভিন্ন আড়তে এসে চামড়া কিনেছেন। এদিকে আড়তদারদের অভিযোগ, ঢাকার ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া নিচ্ছেন না। সরকার লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট চামড়া ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কিন্তু ঢাকার ট্যানারি মালিকরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন আড়ত থেকে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়া নিচ্ছেন ৩৮-৪০ টাকায়। এতে চট্টগ্রামের আড়তদার লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
ঈদুল আজহায় এবার চট্টগ্রামে চার লাখ ১৫ হাজার পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। চামড়াগুলো নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় বিভিন্ন আড়তে মজুত আছে। তবে কম দামে চামড়া কিনে লাভের আশা করলেও আড়তদাররা সেগুলো সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
আড়তদাররা জানান, ঢাকার ট্যানারি মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা চট্টগ্রামে এসে পূর্ব পরিচিত বিভিন্ন আড়তের পাশাপাশি বিভিন্ন আড়ত ঘুরে ঘুরে দেখছেন। শুক্রবার থেকেই আতুরার ডিপো, মুরাদপুর বিবিরহাট, হামজারবাগের আড়তগুলো ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে।
সর্বশেষ তথানুযায়ী, ঢাকার বেশ কিছু ট্যানারি মালিক এখন চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজারের মতো কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে। ঢাকার আরএসএম লেদার শুক্রবার ১৫ হাজার চামড়া নিয়েছে। ঢাকার আরও একজন বড় ক্রেতা খোকন ট্যানারি ও পান্না লেদারের মালিক আকবর হোসেন প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ হাজার চামড়া নেন। এ বছরও তিনি সমপরিমাণ চামড়া নেবেন বলে জানা গেছে।
১৯৯০ সালের দিকে চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু চামড়ার দরপতনে ব্যবসায় লোকসান ও ইটিপি (বর্জয পরিশোধনাগার) স্থাপন করতে না পারায় ২১টি প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে রিফ লেদার নামে একটি প্রতিষ্ঠান টিকে আছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৫০ হাজার চামড়া কিনেছে।
এবার চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। ছোট আকারের গরুর চামড়া ৩০০-৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ৫০০-৬০০ টাকা এবং বড় আকারের গরুর চামড়া ৬০০-৭০০ টাকা দরে আড়তদাররা কিনেছেন।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়া তিন-চার হাত ঘুরে আতুরার ডিপো এলাকার আড়তে আসতে দাম অন্তত দু-তিন গুণ বেড়ে যায়। এদিকে অতিরিক্ত গরমে চট্টগ্রামে ৫০০-৬০০ পিস চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে।
চামড়ার আড়তদার সাইফুল জানান, চট্টগ্রামে ট্যানারি না থাকায় চামড়া বিক্রির জন্য ঢাকার ট্যানারিগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। ঢাকায় বর্তমানে ২২৫টি ট্যানারি রয়েছে। এর মধ্যে খোকন লেদার, ভুলুয়া ট্যানারি, সালমা ট্যানারি, মহুয়া ট্যানারি, পান্না লেদারসহ ছোট-বড় প্রায় ২০টি ট্যানারি চট্টগ্রাম থেকে চামড়া কেনে। বেশির ভাগ ট্যানারি মালিক এখনো আসেননি।
কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির নেতা মুসলিম উদ্দিন জানান, সরকার চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া নিচ্ছেন না। সরকার লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট চামড়া ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু ঢাকার ট্যানারি মালিকরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন আড়ত থেকে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়া নিচ্ছেন ৩৮-৪০ টাকায়। এতে চট্টগ্রামের চামড়ার আড়তদার লোকসানের আশঙ্কা করছেন। আমরা আত্মীয়-স্বজন থেকে টাকা ধার করে চামড়া সংগ্রহ করে থাকি। কিন্তু লাভের মুখ দেখি না।