আসামিকে হাজতে মোবাইল সুবিধা দেয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

মিয়ানমার-নাইক্যংছড়ি সীমান্তে রামু অংশে সিসিটিভি লাগিয়ে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করা শাহীনুর রহমান শাহীন ডাকাতকে কক্সবাজার আদালতের হাজতখানায় মুঠোফোন সুবিধা দেয়ার ঘটনায় দুই টিএসআইসহ পুলিশের ৫ সদস্যকে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে জেলা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন টিএসআই সুরেন দত্ত, আবদুল ওয়াহেদ, কনস্টেবল নাজম হায়দার, গোলাম মোস্তফা ও ইয়াছিন নূর। এসময় কোর্ট হাজতে আসামিদের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে আরও সর্তক হওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
এর আগে এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গত বুধবার (৯ জুন) আদালতে হাজিরা দিতে কোর্ট পুলিশের হেফাজতে হাজতখানা থেকে বের করে আনা হয় শাহীনকে। ঠিক তখনই তার পকেটে মোবাইল ফোনের অস্তিত্ব নজরে আসে কক্সবাজারের সংবাদকর্মীদের। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।
কক্সবাজার আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গেলো ৫ জুন সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শাকের আহমদের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় শাহীন ডাকাতকে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে। এরপর তার সহযোগী হিসেবে একাধিকজনকে গ্রেপ্তার করেছে শৃঙ্খলা বাহিনী।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।