
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর…

মধ্যরাতে শিবির-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

বাবা বাঁচলেও শেষ রক্ষা হয়নি একমাত্র মেয়ের

মুক্তিপণ দিয়েও নূরকে জীবিত পেল না পরিবার

নিখোঁজ শিশু রাইসাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পরিবার

ফেনীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রতীকী ‘গায়েবানা জানাজা’

খুলনায় বিষাক্ত মদপানে আরও ২ মৃত্যু, অসুস্থ কয়েকজন
নিক্সন চৌধুরীর সহযোগী কারাগারে

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও নিক্সন চৌধুরীর সহযোগী মামুন শিকদারকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ৩টার সময় তাকে ফরিদপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে ভাঙ্গা উপজেলার পুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মামুন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
গ্রেফতার মামুন শিকদার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত মজিবুর শিকদারের ছেলে।
ভাঙ্গা থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর রাতে ভাঙ্গা পৌরসভার মধ্যপাড়া হাসামদিয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের পাশে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরের দিন ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বিটু মুন্সী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। মামলায় মামুন শিকদার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মামুন শিকদার গত ৫ আগস্টের পর ভাঙ্গা থানায় দায়ের করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় আসামি ছিলেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে হামলা, প্রতারণা, চাঁদাবাজিসহ ভাঙ্গা থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মামুন শিকদার ছিলেন নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেন। বালু ব্যবসা, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন তিনি।
এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাঙ্গা উপজেলার পুলিয়া বাজার এলাকা থেকে মামুন শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। সোমবার বেলা ৩টার সময় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।