
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৭২ ঘণ্টার মধ্যে চতুর্থবারের মতো মার্কিন রণতরী এবং অন্যান্য জাহাজের ওপর গোলাবর্ষণ হুথিদের

গাজার প্রধানমন্ত্রী ইসাম দা’আলিস ইসরাইলি বোমা হামলায় নিহত

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ৩০ দিনের জন্য হামলা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়া

দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রায় ১০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুই দিনের সফরে ইসরাইলে

চলতি সপ্তাহেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

শিন বেত প্রধানকে বরখাস্তের পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর

এফ৩৫ বিমানের নতুন চালান পেল ইসরাইল
গাজা পুনর্গঠনে পরিকল্পনা তৈরি করছে মিসর

গাজা পুনর্গঠনে পরিকল্পনা তৈরি করছে মিসর। তবে এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিপরীত নিয়মে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটি। ট্রাম্প গাজা জনশূন্য করে এই অঞ্চলের পুনর্গঠনের কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের না করে অঞ্চলটির পুনর্গঠনে মনোযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে মিসর। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলআত্তি সোমবার ঘোষণা করেছেন যে, কায়রো বর্তমানে গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। যার লক্ষ্য গাজার জনগণের পুনর্বাসন না ঘটিয়ে অঞ্চলটি পুনর্গঠন করা। এই পরিকল্পনা ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি। যা গাজার ভূ-রাজনৈতিক এবং জনসংখ্যাগত কাঠামো পরিবর্তনের দাবি করে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আল-আহরাম জানিয়েছে, মিসর গাজার জন্য একটি সমন্বিত পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি করছে। এটি ৩টি ধাপে সম্পন্ন হবে এবং ৫ বছরের মধ্যে শেষ হবে। প্রথম ধাপটি শুরু হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি কায়রোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জরুরি আরব সম্মেলনের পর। এর আগে, সৌদি আরব রিয়াদে মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানের প্রতিনিধিদের নিয়ে গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে পুনরায় হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর গাজার বিষয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনা করেছেন। এ পরিকল্পনায় তিনি গাজাকে নজরদারি করার এবং সেখানে বসবাসকারী ২ মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে অন্য কোথাও পুনর্বাসিত করার কথা বলেছেন। তবে মিশর ও জর্ডান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো একে জাতিগত নির্মূল হিসাবে বিবেচনা করেছে। মিসরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার ভিতরে তিনটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে ফিলিস্তিনিরা পুনর্গঠনের প্রথম ৬ মাসের মধ্যে অবস্থান করবে। এখানে মোবাইল বাড়ি এবং আশ্রয়স্থল তৈরি করা হবে এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার জনগণের জন্য হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে মিসর তাদের পরিকল্পনা অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করছে। পাশাপাশি সৌদি আরব, কাতার ও ইউএইর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের গাজার নতুন সংস্করণের পরিকল্পনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে গিয়ে এই পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন জোরদার করেছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজার বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় তৃতীয় দেশে চলে যাওয়ার জন্য সহায়তা দেওয়া হবে। তবে মিসরের এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাবের তুলনায় অনেক বেশি মানবিক এবং গাজার জনগণের সুবিধা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।