ইপিআই বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে জনবলের ঘাটতি

ইপিআই বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে জনবলের ঘাটতি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:১৫ 27 ভিউ
বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে জনবলের ঘাটতি। এছাড়া অঞ্চলভিত্তিতে টিকাকেন্দ্রের অসম বণ্টন, অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, টিকার অপর্যাপ্ততার মতো সমস্যাও রয়েছে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বক্তব্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ গবেষণায় (২০২৪) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে টিকা কার্যক্রমে জনবলের ঘাটতি। এসবের মধ্যে রয়েছে অঞ্চলভিত্তিক টিকাকেন্দ্রের অসম বণ্টন, অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, টিকার অপর্যাপ্ততা, টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব, দুর্গম এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টিকা পরিবহনজনিত সমস্যা, টিকাদান সম্পর্কিত প্রচারণার অভাব ইত্যাদি। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহর ও গ্রামে টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দকৃত জনবলের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ পদ এবং ইপিআই সদর দপ্তরে ৪৩ শতাংশ পদ এখনো শূন্য রয়েছে। এছাড়া বরাদ্দকৃত জনসংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। আরবান ইমিউনাইজেশন স্ট্রাটেজি-২০১৯ এবং ইপিআই মাইক্রোপ্ল্যান-২০২৪ অনুসারে প্রতি পঞ্চাশ হাজার জনসংখ্যার জন্য ৬ জন টিকাদানকর্মী প্রয়োজন, যা বাংলাদেশে এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাছাড়া জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুসারে টিকাদান কেন্দ্রের অসম বণ্টন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে দুর্গম এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যে সংখ্যায় টিকাদানকেন্দ্র থাকা দরকার সেই সংখ্যক টিকাদান কেন্দ্র নেই। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে। সেগুলো হলো- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহর ও গ্রামে টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দকৃত জনবলের মধ্যে যে শূন্যপদ আছে সেখানে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া, জনসংখ্যা ভিত্তিক জনবলনীতি অভিযোজন করা, জনসংখ্যার ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে টিকা কেন্দ্রের সুষম বণ্টন, প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা ইত্যাদি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন গবেষণা প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, এমএনসি এএইচের ডিরেক্টর ডা. এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ প্রমুখ।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ছেলের বিরুদ্ধে মামলা, বিএনপি অফিসে রিনা খান অন্তর্বাস না পরলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় জামায়াত ইরান থেকে ৭০ বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে গায়ক নোবেলের সঙ্গে ইডেনের সাবেক শিক্ষার্থীর বিয়ে সম্পাদনের নির্দেশ ১৩ ছক্কায় যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাক্সওয়েলের ‘তাণ্ডব’ সব ছেড়ে আধ্যাত্মিকতায় জ্যাকুলিন, কে দেখালেন আলোর দিশা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম কোন কাজটি করেন আমির ‘হুঁশিয়ারির সময় শেষ, এবার শাস্তির পালা’: ইরানি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুকে চুরি হয়ে যাচ্ছে নতুন ভবনের মালামাল সুনামগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু বিদেশে গেল না আম, হতাশ ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত প্রকাশকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ দেখত হাসিনার সরকার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া ইসরাইলের আকাশসীমা দখলে নেওয়ার দাবি ইরানের এআই যুদ্ধের সূচনা, কতটা সফল হবে ডিপসিক? শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞে অনড় ইরান-ইসরায়েল তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী ঘাটতি বাজেটের অর্থায়নই প্রধান সমস্যা