
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

ঢাবির আবাসিক হলের পকেট গেট রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে

বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকদের জন্য সুখবর

দিনাজপুর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে আসেনি ১৭৫৭ জন

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

এইচএসসি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ

ধরাছোঁয়ার বাইরে বেশ কিছু মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান
আজ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে আজ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। এ সময় বুয়েট, জবি, চুয়েট, কুয়েট, ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। মুসাদ্দিক বলেন, বুধবার আমরা কোনো ক্লাস করব না। দেশের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করুন। সব ক্যাম্পাসে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় এক দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার, মাসুদ তুই গদি ছাড়’, ‘গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘ শিক্ষা-সন্ত্রাস একসাথে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট অবরোধের পর রাত ১২টা ১৫ মিনিটে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় কুয়েট শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, আপনারা যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা যারা অনশনে বসেছি তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনশনে বসবেন। এটা ভবিষ্যতে স্বৈরাচারদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা যেন জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে থাকতে পারি। কুয়েট একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।
বুয়েট শিক্ষার্থী আব্দুন নুর তুষার বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ৩৬ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছেন। এই মুহূর্তে আমরা কি ক্লাসে যেতে পারি? আমরা চাই, বুধবার সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হোক। অন্তর্বর্তী সরকার অতি দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। চুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে অথচ এখনো কুয়েট প্রশাসন ও অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। জবির এ শিক্ষার্থী বলেন, আজ যখন আমার ভাই-বোনরা অনশনে তখন কুয়েটের দালাল ভিসি বলছেন- আমরা আলোচনা চাই। এক দফা, তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
এদিকে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একদল নেতাকর্মী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের অনশন চলমান।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।