বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু: যিনি রাজাকার, দেশদ্রোহী, বেঈমানদের ছাড় দেননি

বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু: যিনি রাজাকার, দেশদ্রোহী, বেঈমানদের ছাড় দেননি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ জুন, ২০২৫ | ১১:৩২ 37 ভিউ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচজন রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন, যা তাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের কাছে দেশপ্রেম ও সাহসের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার মৃত্যুর খবরে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সখিনা বেগমের বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। ১৯৭১ সালে, দেশদ্রোহী রাজাকারদের বিরুদ্ধে তার নির্ভীক প্রতিরোধ তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রেরণার উৎস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তাকে “মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক” হিসেবে আখ্যায়িত করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সখিনা বেগম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের উত্তরসুরি, যারা রাজাকারদের কখনো ছাড় দেননি।” কিশোরগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান তার স্বামী কিতাব আলী। এই নারী মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ বয়সে দেখাশোনা করতেন তার ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বই থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহিদ হন। ভাগনের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। ওই সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় ‘বসু বাহিনীর’ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে তিনি একটি ধারালো দা নিয়ে আসেন। পরে সেই দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে মারেন। সেই দা বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে এবং নামফলকে সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো গভীর শোক প্রকাশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “সখিনা বেগমের সাহস ও ত্যাগ আমাদের জাতীয় মুক্তির সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে।”

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও পড়ালেখা অনিশ্চিত ছাইনুমে মারমার রাউজানে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪০ প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা, দিশাহারা ঝালমুড়ি বিক্রেতা রাবি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জামায়াত, দাবি ছাত্রদল সেক্রেটারির তরুণীর প্রেমের টানে চীনা যুবক বাংলাদেশে নিজের বিয়ে ঠেকাতে যা করল স্কুলছাত্রী শাহ আমানতে আমদানি নিষিদ্ধ ক্রিম ও সিগারেট জব্দ বিরতি শেষে কাজে ফিরেছেন টেলর সুইফট নারায়ণগ‌ঞ্জে রাতে আগুন, পুড়লো ২০ বসতঘর আগামী ৪ দিন কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার ঘোষণা ঢেউয়ের আঘাতে বিপর্যস্ত সেন্টমার্টিন, তছনছ হয়ে গেছে ১১ হোটেল-রিসোর্ট ৪৫০ যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টা উড়ে ফিরে এলো বিমান ১৪ হাজার কোটি টাকার উৎস জানতে রিমান্ডে ইউপি চেয়ারম্যান মালয়েশিয়ায় ১৫ বাংলাদেশি আটক সরাসরি চাঁদে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণু, মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শঙ্কা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা সক্রিয় করবেন যেভাবে জাল সনদে সাবেক এমপির স্ত্রীকে নিয়োগ, অধ্যক্ষ হাজতে মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে