
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আধিপত্য নিয়ে আ.লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৬০

ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা

চাঁদপুরে দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

উপজেলা যুবলীগ সভাপতি গ্রেফতার

পুড়ে ছাই নয়ানী বাজারের ৩ গোডাউন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

চট্টগ্রাম বন্দরে লতিফের প্রভাবেই নবায়ন, কাজের অনুমতি
হেমায়েতপুরে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা

পাবনার হেমায়েতপুরে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কার্যালয় ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে জামায়াত নেতাসহ স্থানীয় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। তবে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিএনপি। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা সদর থানায় এ ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি লিখিত এজাহার দায়ের হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারের আসামিরা হলেন- মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, চক পৈলানপুর মোড়ের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. রানা, তানজিল ওরফের টুকাই তানজিল, উজ্জ্বল হোসেন, বিএনপি নেতা রফিক হোসেন। জামায়াতের হেমায়েতপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডর যুব বিষয়ক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্র বলছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিম অভিযোগ করে বলেন, ‘মালিগাছা ও হেমায়েতপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় ৫ আগস্টের পর থেকে ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে।’ অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মোটেও অবগত নই। পূর্ববিরোধের জেরে একটু ঝামেলা হয় এবং থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি সবাইকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এর বেশি কিছু নয়।’
এদিকে পাবনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল। এ নিয়ে শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওসি স্যারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার প্রতিবেদন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’