
নিউজ ডেক্স
আরও খবর
৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান কারাগারে

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান জগন্নাথ চন্দ্র দাসকে (৪৫) গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাকে তিন শতাধিক আমানতকারীর তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। প্রধান আসামি জগন্নাথকে সোমবার দিনভর প্রকাশ্যে বেঁধে রাখার পর রাতে শিবালয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী স্থানীয় শিবরামপুর গ্রামের সাহাজ উদ্দিনের ছেলে শওকত হোসেন সাকিম (৫৬) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে- গ্রামের উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কো-অপারিটিভ সোসাইটির কর্মকর্তা মো. আলম হোসেন (৪৪), মো. রজব আলী (৪০), ফলসাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী (৪০), গ্রেফতার হওয়ার জগন্নাথের স্ত্রী সুমা রানী দাস (৩২), বাবা বলাই চন্দ্র দাস (৬০) ও ভাই গোপী নাথ দাসকে (৩৫)।
ভুক্তভোগী শতাধিক আমানতকারীরা টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাদের দাবি তিন শতাধিক লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে রাখা প্রায় তিন কোটি টাকার আমানত নিয়ে গ্রামের উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গা ঢাকা দেন। পরে গ্রাহকরা মামলা করলেও এনজিও মালিকরা জামিনে এসে ঘুরতে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার টেপড়া এলাকায় এক যুগ আগে জগন্নাথ দাস, আলম হোসেন, রজ্জব আলী, স্থানীয় ফলসাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী মাস্টারের যৌথ পরিচালনায় গ্রামের আলো ও গ্রামের উন্নয়ন মাল্টিপারপাস কোঅপারিটিভ সোসাইটি নামে দুইটি এনজিও দিয়ে ঋণ, সঞ্চয়পত্র, জামানতসহ বিভিন্ন মেয়াদে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করেন। নিদিষ্ট সময় পার হলে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে। পরবর্তীতে কয়েক বছর আগে ওই এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ করে তারা গা ঢাকা দেন।
ভুক্তভোগী আমানতকারীরা বলেন, আমানতের লাভ্যাংশ দূরের কথা আমাদের মূল টাকাও ফেরত দেননি। আমাদের কষ্টে অর্জিত টাকা হারিয়ে এখন সবাই সর্বশান্ত হয়ে গেছি। মামলা দিয়েও টাকা ফেরত পায়নি। এনজিও মালিকরা জামিন নিয়ে ঘুরছেন। এ কারণে এনজিওর চেয়ারম্যান জগন্নাথ দাসকে আমরা বেঁধে রাখি। এ টাকা ফেরত না পেলে আমাদের সাবাইকে পথে বসতে হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবালয় থানার এসআই অসীম মন্ডল জানান, প্রধান আসামিকে ভুক্তভোগী আমানতকারীরা পুলিশে সোপর্দ করেছেন। মামলার বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি যাতে গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পান।