
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প বললেন, ‘গ্রেট প্রোগ্রেস’

একই গাড়িতে উঠলেন ট্রাম্প-পুতিন

ট্রাম্প বললেন সম্ভবত আবার দেখা হবে, পুতিন বললেন ‘পরেরবার মস্কোতে’

ট্রাম্প-পুতিনের আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন জেলেনস্কি

আপনি কি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন, পুতিনকে সাংবাদিকের প্রশ্ন

মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো ৯৮ বাংলাদেশিকে

সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, প্রাণহানি অন্তত ৪০
শখ পূরণের টাকা নেই ১০০ কোটি ভারতীয়র

ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটিরও বেশি। অথচ কোনো ধরনের বিবেচনামূলক পণ্য বা সেবার পেছনে ব্যয় করার ক্ষমতা নেই বেশিরভাগ মানুষেরই।
জীবনধারণের ন্যূনতম ব্যয়ের মধ্যেই তাদের জীবন সীমাবদ্ধ। ব্যক্তিগত শখ পূরণের টাকা নেই তাদের কাছে। বুধবার ব্লুম ভেঞ্চারসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির প্রায় ১০০ কোটি মানুষের হাতে তাদের নিজেদের কাজে ব্যয় করার মতো টাকা থাকে না।
ব্লুম ভেঞ্চারসের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের ভোক্তা শ্রেণি বা কার্যত উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের পণ্যের সম্ভাব্য বাজারের আকার মাত্র ১৩-১৪ কোটি, যা মেক্সিকোর মোট জনসংখ্যার সমান। দেশটিতে ৩০ কোটি মানুষ উদীয়মান বা সম্ভাব্য ভোক্তা হিসাবে বিবেচিত হলেও তারা খুব হিসাব করে খরচ করেন। অবশ্য ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধার কারণে ধীরে ধীরে খরচের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ভোক্তা শ্রেণির পরিধি বাড়ছে না বরং এই সংকট গভীরতর হচ্ছে। অর্থাৎ, ভারতের ধনী লোকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে না। তবে যারা ইতিমধ্যেই সম্পদশালী, তারা আরও ধনী হয়ে উঠছে। এর ফলে, দেশের ভোক্তা বাজারে বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বিশেষত, ‘প্রিমিয়ামাইজেশন’ বা উচ্চমূল্যের পণ্যের দিকে ব্র্যান্ডগুলোর মনোযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে, ব্র্যান্ডগুলো সাধারণ মানুষের বাজারের নজর না দিয়ে ধনীদের জন্য উন্নত ও ব্যয়বহুল পণ্য তৈরিতে জোর দিচ্ছে। এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে বিলাসবহুল আবাসন ও প্রিমিয়াম ফোনের বিক্রিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে। বিপরীতে কম দামের আবাসন বা ফোনগুলো বিক্রি হওয়ার ক্ষেত্রে সংগ্রাম করছে। পাঁচ বছর আগে ভারতের আবাসন খাতের ৪০ শতাংশ বাজারই ছিল সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি ক্রেতাদের দখলে, এখন তা কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ব্র্যান্ডেড পণ্যের বাজারের আকারও বেড়েছে।
পাশাপাশি, ‘এক্সপেরিয়েন্স ইকোনমি’ বা ‘অভিজ্ঞতা অর্থনীতি’ তথা বিনোদন ও বিলাসব্যসনের প্রতি মানুষের আগ্রহ তীব্রভাবে বেড়েছে। প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক সাজিথ পাই বিবিসিকে বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে তারা সফল হয়েছে। যারা শুধু সাধারণ মানুষের বাজারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে বা যাদের পণ্যের তালিকায় প্রিমিয়াম পণ্য নেই, তারা বাজার হারিয়েছে।
কোভিড পরবর্তী ভারতে ধনীরা আরও ধনী হয়েছে। আর দরিদ্ররা ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে। প্রতিবেদনটি দীর্ঘদিনের এই ধারণাকে আরও সুসংহত করেছে। প্রকৃতপক্ষে, এই প্রবণতা মহামারীর আগেই শুরুর হয়েছিল। ভারতে আয়বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে দেশের শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগণের হাতে জাতীয় আয়ের ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশ কেন্দ্রীভূত, যেখানে ১৯৯০ সালে এই হার ছিল ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে, দেশটির নিম্ন স্তরের ৫০ জনগণের আয়ের অংশ ২২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশে এ নেমে এসেছে।
তবে সম্প্রতি ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্থবিরতা কেবল ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে নয় বরং সাধারণ জনগণের আর্থিক সঞ্চয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং ঋণের বোঝা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার ফলেও হয়েছে।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।