
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ভাঙা সড়কে ধানের চারা রোপণ, সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবকের কাণ্ড

বাঁশের সঙ্গে ‘নৌকা’ ঝুলিয়ে আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন প্রবাসী আতিক

২১ ঘণ্টা পর লিটনের মরদেহ ফেরত দিল ভারত

মেঘনায় ডুবে গেল ৭ বাল্কহেড, ১৩ জনকে উদ্ধার

র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবাকে মারধর
তিন ছাত্র হত্যা মামলার প্রথম চার্জশিট শেরপুরে

ছাত্র-জনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শেরপুরের সদর থানায় করা তিনটি হত্যা মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) ৩০ জুন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এর মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া হত্যা, হত্যা চেষ্টা ও নির্যাতনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন শেরপুর থেকেই প্রথম দেওয়া শুরু হলো।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারি জিপ গাড়ি তুলে দেন চালক হারুন। এতে ঘটনাস্থলে দুই ছাত্র নিহত হন। অপরদিকে একইদিনে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আরও এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় তিনটি হত্যা মামলা করেন নিহতদের স্বজনরা। তিনটি মামলায় ৪৯৬ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ-সদস্যসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতাকর্মী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাড়িচালকের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ওই সময় শেরপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন বিসিএস ৪১তম ব্যাচের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম শাকিল। ৪ আগস্ট দায়িত্বরত শাকিলকে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক হারুনুর রশীদ। ছাত্ররা শেরপুর শহরের খরমপুর মোড় থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত তৎকালীন হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে এগোতে থাকেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিলের নির্দেশে চালক হারুন গাড়ি দ্রুতগতিতে চালিয়ে দেন ছাত্রদের ওপর। ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী মাহবুব আলম ও শারদুল আশীষ সৌরভ প্রাণ হারান। আহত হন অনেকে।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়। একটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান উপপরিদর্শক (এসআই) আনসার আলী। তিনি গাড়িচালক হারুনকে চলতি বছর জানুয়ারিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেন। হারুন শেরপুরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বদলি হয়ে চলে আসেন।
জিজ্ঞাসাবাদে হারুন জানান, ম্যাজিস্ট্রেট শাকিলের নির্দেশে তিনি ছাত্রদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করে আদালতে তা জমা দেওয়া হয়েছে। একইদিনে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে শেরপুরে গুলিতে নিহত হন সবুজ নামের আরেক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ-সদস্যসহ তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে আরও একটি হত্যা মামলা হয়।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ভুইয়া বলেন, শেরপুর সদর থানায় করা ৩টি হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনছার জানান, হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যারা ৩টি হত্যা মামলাতেই আসামি হিসেবে গ্রেফতার আছেন।