নিউজ ডেক্স
আরও খবর
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে যে বার্তা দিলেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
চ্যালেঞ্জের মুখে সীমান্তহীন ইউরোপের স্বপ্ন
আমেরিকা আরও মহান আরও শক্তিশালী হবে
ট্রাম্প কী ১০০ দিনের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন?
একই গাড়িতে শপথ অনুষ্ঠানে পৌঁছলেন ট্রাম্প ও বাইডেন
রুশ হেলিকপ্টার মিলছে না, ঝুঁকিতে অর্থ ফেরত
ট্রুডোর পদত্যাগে কানাডাকে ফের ৫১তম রাজ্য বানানোর প্রস্তাব ট্রাম্পের
গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফ্লোরিডায় দেখে করেছিলেন কানাডার পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ওই বৈঠকে কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। বিষয়টি হাস্যরসের হলেও, মূলত বাণিজ্য ও অভিবাসন সমস্যা নিয়ে ট্রুডোর প্রশাসনের ওপর নাখোশ ছিলেন ট্রাম্প।
এবার হোয়াইট হাউজে আগামী ২০ জানুয়ারি আসীন হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়েছেন ট্রুডো। ঠিক এ সময়ও রসিকতা করতে ছাড়েননি ট্রাম্প। আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করা প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টানা ৯ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকা ট্রুডোকে নিয়ে নিজের দলের ভিতরেই তার পদত্যাগের জন্য ক্রমে চাপ বাড়ছিল। এই অবস্থা সোমবার কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
এমন আবহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প আবারও ট্রুডো ও কানাডাকে ট্রল করার সুযোগ নিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘কানাডার অনেক মানুষ ৫১ তম রাজ্য হতে ভালোবাসে। কানাডার এতো পরিমাণ বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সহ্য করতে পারে না। জাস্টিন ট্রুডো এটি জেনে পদত্যাগ করেছেন। কানাডা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত হয়, তাহলে সেখানে কোন কিছু থাকবে না। শুল্ক, ট্যাক্স অনেক কমে যাবে, এবং তারা ক্রমাগত ঘিরে থাকা রাশিয়ান এবং চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকবে। সবাই মিলে এটি এক মহান জাতি হবে’!
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে আগে থেকে বিতর্ক ছিল। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার আগে ট্রুডোর কাছে বার্তা পরিষ্কার করে দেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ নিয়ে ট্রাম্পের নীতি কট্টর। এছাড়া কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি তো আছেই।
ট্রুডো ২০১৫ সালে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সর্বশেষ ২০২১ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে লিবারেল পার্টি। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডায় নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে চাপের মুখে দলীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রিত্ব দুটোই ছাড়তে বাধ্য হলেন ট্রুডো।
গদত্যাগের ঘোষণায় ট্রুডো বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষের সেরা বিকল্পকে বাছাই করার সুযোগ পাওয়া উচিত। যদি আমায় দলের ভিতরেই লড়াই করতে হয়, স্পষ্টতই, আমি সেরা বিকল্প নই।’
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।