চীনের গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

চীনের গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ মে, ২০২৫ | ১১:০১ 36 ভিউ
গুপ্তচরবৃত্তিতে পুরো বিশ্বে সংখ্যানুপাতে সবচেয়ে বড় ও তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার তকমা পেয়েছে চীনের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএস। সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটিকে (MSS) বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুপ্তচর সংস্থার তকমা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) গুপ্তচরবৃত্তির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটির (এমএসএস) মাধ্যমে তারা এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন তার ততপর গুপ্তচরদের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ বৈশ্বিক ঘটনাবলীতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে। সেইসঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোতে চীনা নাগরিক বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত চীনা নাগরিকদের ওপর নজরদারী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, চীন ইতোমধ্যে নিজেদের গুপ্তচরবৃত্তি আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,ব্যবসা এবং স্থানীয় সরকারগুলোতে নিজেদের গোয়েন্দা নিযুক্ত করেছে। দীর্ঘ তিন দশক চীনের গুপ্তচরবৃত্তি মোকাবিলা করা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক জিম লুইস মনে করেন, বিদেশি সরকার চীনের প্রাথমিক লক্ষ্য নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে আমেরিকা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। কিন্তু যেসব চীনা নাগরিক পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশেষ করে আমেরিকায় অবস্থান করে তারা চীনের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক টার্গেট। বিশ্বে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো এবং বিদেশে বসবাসকারী ভিন্নমতালম্বীদের টার্গেট করাই এই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কাজ বলে এসব প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এই কার্যকলাপ বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য এক বড় হুমকি। উল্লেখ্য, চীনে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তৎপরতার জন্য আলাদা কোনো সংস্থা নেই। দেশটির একটি মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করে। মন্ত্রণালয়ের নাম মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি। সংক্ষেপে এমএসএস। এমএসএস চীনের অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি, কৌশলগত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনায় অত্যন্ত সক্রিয়। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চীনা স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৮৩ সালে সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট এমএসএস’র অধীনে নেওয়ার পর চীনের কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রম এ মন্ত্রণালয় পালন করছে। দেশটির গোয়েন্দা তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত ও সামরিক গোপন তথ্য সংগ্রহ করা। টার্গেট দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, বর্তমান রাশিয়া, ব্রিটেন, জাপান ও জার্মানি। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানে গোয়েন্দা তৎপরতায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফ্যানের গতি কমালে কি সত্যিই বিদ্যুৎ বিল কমে? সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ ৬ উপায় দুর্ঘটনায় দগ্ধদের উদ্দেশে তাসনিম জারার ৭ পরামর্শ মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন শুরু আজ স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কি না, ইসলাম যা বলে মৃত ব্যক্তির কপালে চুমু দেওয়া যাবে কি মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে কাঁদছে ক্রিকেটাররাও মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে শোকাহত সাকিব তারকাদের প্রার্থনায় মাইলস্টোন মুখ খুলেছেন আমির ওয়েব ফিল্মে মৌ সাইপ্রাস ভেঙে দুই রাষ্ট্র গঠনে জোর এরদোয়ানের জার্মানিতে কেমন আয় করেন অভিবাসীরা, যা বলছে গবেষণা আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর… মধ্যরাতে শিবির-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া বাবা বাঁচলেও শেষ রক্ষা হয়নি একমাত্র মেয়ের মুক্তিপণ দিয়েও নূরকে জীবিত পেল না পরিবার নিখোঁজ শিশু রাইসাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পরিবার দীর্ঘকালীন লোকসানে নিমজ্জিত ইউনিয়ন ক্যাপিটাল