ডায়াবেটিসে অন্ধত্ব ও করণীয়

ডায়াবেটিসে অন্ধত্ব ও করণীয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ জুন, ২০২৫ | ৭:৫১ 66 ভিউ
ডায়াবেটিসের শুরুতেই রোগের লক্ষণ হিসেবে অনেকের ঝাপসা দৃষ্টি থাকতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সিকিভাগের বেশি রোগীর রোগ নির্ণয়ের সময় জটিলতা থাকে। এসব জটিলতার মধ্যে চোখের জটিলতা তথা রেটিনোপ্যাথি সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও ঝাপসা দৃষ্টি তৈরি হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, সোজা রেখা বাঁকা দেখা, দৃষ্টিসীমানার ভেতরে কালো কালো দাগ দেখা, আকস্মিক অন্ধত্ব– এগুলো সব হতে পারে রেটিনার ব্যাধিতে। মাঝেমধ্যে দৃষ্টিশক্তির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে রক্তে গ্লুকোজের তারতম্যের কারণে। চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্তর হচ্ছে রেটিনা। ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনও রেটিনায় ঘটে রক্তক্ষরণ। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রেটিনা বিচ্ছিন্ন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রেটিনা ও অক্ষিগোলকের জেলিসদৃশ পদার্থের ভেতর নতুন নতুন রক্তনালি তৈরি হতে থাকে। এসব গজিয়ে ওঠা নবীন রক্তনালি থাকে ভঙ্গুর। এখান থেকে হতে পারে রক্তক্ষরণ। এমনটি ঘটলে দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ ছানি পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গ্লুকোমা বা চোখের চাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। ডায়াবেটিসের ধরন, সময়কাল, ব্যক্তির বয়স, গ্লুকোজের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির উপস্থিতি রেটিনার ব্যাধি সৃষ্টির জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। চোখের জটিলতা কমাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরচর্চা, ওষুধ এবং প্রয়োজন বোধে ইনসুলিনের চিকিৎসা নিতে হবে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কেমন। প্রতিবছর অন্তত একবার চক্ষু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে চোখের জটিলতা নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নির্ণিত হওয়ার পর প্রতিবছর চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের পাঁচ বছর পর থেকে প্রতিবছর এমনটি করতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রেটিনার এসব রোগের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন। কখনও এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে লেজারথেরাপি কিংবা কখনও চোখের ভেতরে ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। এসব নির্ভর করে রেটিনার অবস্থার ওপর। কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ লেখক : মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে ফজর নামাজের সময় মসজিদে নারকীয় তাণ্ডব, নিহত ২৭ সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি ১৯ ভোটারে একজন প্রার্থী রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে রুশ ট্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভয়াবহ হামলা যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ৩ কার্গো এলএনজি এআই ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার, দাবি বিএফআইইউর প্রধানের কলিং ভিসায় সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া নির্ধারিত দামের চেয়ে পাঁচ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে পাম অয়েল ডাকসু: ২২ ভোটারে একজন প্রার্থী বিএফআইইউ প্রধানের বিষয়ে তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক টেবিলে বসবেন পুতিন-জেলেনস্কি, এরপর ত্রিপক্ষীয় বৈঠক: ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই পুতিনকে ফোন করলেন ট্রাম্প ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি, কিন্তু এটা সবচেয়ে কঠিন: ট্রাম্প ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক, ইউরোপীয় নেতারা কে কী বললেন