
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

২৩ বছর ধরে কারাগারে ফিলিস্তিনের ‘নেলসন মেন্ডেলা’

ধর্মঘটে বাতিল এয়ার কানাডার ৬’শর বেশি ফ্লাইট

চীনে অবৈধ সরবরাহ ঠেকাতে চিপের চালানে গোপন ট্র্যাকার বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালাল রাশিয়া

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প বললেন, ‘গ্রেট প্রোগ্রেস’

একই গাড়িতে উঠলেন ট্রাম্প-পুতিন

ট্রাম্প বললেন সম্ভবত আবার দেখা হবে, পুতিন বললেন ‘পরেরবার মস্কোতে’
গাজার ত্রাণের বস্তায় নেশার বিষ

মৃত্যুপুরী গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন চলছেই। ত্রাণ সহায়তার নামেও ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর সেনারা। গুলি চালিয়েই ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না তারা।
গাজাবাসীদের হত্যা করতে ত্রাণের বস্তায় নেশার বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। শুক্রবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন-ইসরাইলি সহায়তা কেন্দ্র থেকে বিতরণকৃত আটার বস্তায় অক্সিকোডন (আফিম জাতীয়) নামের ভয়ংকর মাদক ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। মিডল ইস্ট আই।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ‘আমরা এখন পর্যন্ত চারজন নাগরিকের সাক্ষ্য পেয়েছি। যারা এই নেশার ট্যাবলেট আটার বস্তায় খুঁজে পেয়েছেন। গাজা কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, ‘কিছু বস্তায় এই মাদক গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
অক্সিকোডন এমন একটি ওষুধ যা সাধারণত ক্যানসার রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি তীব্র ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি অত্যন্ত আসক্তিকর ও প্রাণঘাতীও। এটি খেলে শ্বাসকষ্ট, মানসিক বিভ্রম, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে আটার ভেতরে থাকা মাদক ট্যাবলেট দেখা গেছে।
গাজার ফার্মাসিস্ট ওমর হামাদ একে ‘গণহত্যার সবচেয়ে ঘৃণ্য রূপ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে গাজার চিকিৎসক খালিল মাজেন আবু নাদা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই মাদকের মাধ্যমে আমাদের সমাজকে ভেতর থেকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে।’
গাজার মিডিয়া অফিস ইসরাইলকে এই ভয়াবহ অপরাধের জন্য পুরোপুরি দায়ী করে বলেছে, ‘ইসরাইল অবরোধের সুযোগ নিয়ে সহায়তার নামে এইসব মাদক গাজায় পাচার করছে। যা আসলে সহায়তা নয়, মৃত্যু ফাঁদ।’
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।