শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে বিচার করতে হবে

শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে বিচার করতে হবে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:১০ 28 ভিউ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নজিরবিহীন গণহত্যা চালিয়েছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনার নির্দেশে তারা এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাই শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে বিচার করতে হবে, তবেই জুলাইয়ের শহিদরা যে আকাঙ্ক্ষা ও দাবি থেকে জীবন দিয়েছেন, তা পূর্ণতা পাবে। তিনি শনিবার বিকালে বড়াইগ্রাম উপজেলা মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে জেলা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী সাথী শিক্ষা শিবিরের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আফতাব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্ন্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম মহানগরী (দক্ষিণ) সভাপতি ইবরাহিম হোসেন রনি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মুস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সাবেক সভাপতি হাফেজ গোলাম রাব্বানী, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ শাহাদাৎ হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক ইউনুস আলী ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল হাকিম এবং জেলা মসজিদ মিশন একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসাইন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা ২০০৯ সালে চোখের সামনে পিলখানায় এ দেশের সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করতে দেখেছি, শাপলা চত্বরে নিরীহ ছাত্রদেরকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা দেখেছি। আমরা যদি দক্ষ এবং যোগ্য হয়ে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারি তাহলে এই পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বর হত্যা, ব্যাংক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধের সমাধান আমরা খুঁজে পাব না। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ছিল না। ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাস ও মাদকের স্বর্গরাজ্যসহ অস্থিতিশীল এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল। জুলাই বিপ্লবে অনেক আত্মত্যাগের মাধ্যমে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তাই এখন সব রাজনৈতিক ও সব ইসলামী ছাত্রসংগঠনের অবস্থান নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যে রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের উপরে শুধু গেইল মেয়েদের পুরস্কার দেবে বাফুফে বাবার জন্য দাবা, ছেলের কথা রাখলেন মা মা হতে চান জয়া আহসান ‘বেবিটা আমার বোনের’, গুজব নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা ঢালিউডে ছ’মাসে ২২ সিনেমা, কতটুকু ফুটলো আশার ফুল? ১৮৫ সিনেমার মহাতারকা শবনম, ২৫ বছর ধরে ভালো গল্পের অপেক্ষায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই