
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুতিন, দাবি জেলেনস্কির

বেলুচিস্তানের মাজিদ ব্রিগেডকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র

ইহুদিদের পবিত্র দেয়ালে গণহত্যাবিরোধী গ্রাফিতি

প্যারিসে ৫০ বছর পত্রিকা বিক্রি, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মাননা পাচ্ছেন আকবর

মৃত ব্যক্তির বটের উত্থান নিয়ে যত মুগ্ধতা ও ভয়

সিঙ্গাপুরের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

গাজায় অনাহারে মৃত্যু ২০০ ছুঁইছুঁই
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য অযৌক্তিক: ভারত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সোমবার রাতে একটি পোস্ট দিয়ে ভারতকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিখেছেন, ‘ভারত যে শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয় বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশির ভাগ অংশ খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তা পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়াবো।’
এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে জানানো হয়, ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য ভারতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি অন্যায্য ও অযৌক্তিক। ভারত তাদের স্বার্থ রক্ষার উদ্যোগ নেবে। প্রকৃতপক্ষে, ভারত রাশিয়া থেকে আমদানি শুরু করে কারণ সংঘাত শুরু হওয়ার পর সরবরাহ ইউরোপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারের স্থিতিশীলতা জোরদার করার জন্য ভারতের এই ধরনের আমদানিকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করেছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের আমদানি দেশের ভোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি খরচ নিশ্চিত করার জন্য। বিশ্ব বাজার পরিস্থিতির কারণে এগুলো প্রয়োজনীয়। যদিও ভারতের সমালোচনাকারী দেশগুলো নিজেরাই রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিতে বলেন, যেকোনো বড় অর্থনীতির মতো ভারতও তাদের জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাশিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ৬৭.৫ বিলিয়ন ইউরো। এছাড়া, ২০২৩ সালে পরিষেবার ক্ষেত্রে তাদের আনুমানিক ১৭.২ বিলিয়ন ইউরো বাণিজ্য ছিল। এটি সেই বছর বা পরে রাশিয়ার সাথে ভারতের মোট বাণিজ্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্য বেশি। ২০২৪ সালে ইউরোপীয় এলএনজি আমদানি রেকর্ড ১৬.৫ মিলিয়ন টনে পৌঁছে, যা ২০২২ সালে ১৫.২১ মিলিয়ন টনের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপ-রাশিয়া বাণিজ্যে কেবল জ্বালানি নয়, সার, খনির পণ্য, রাসায়নিক, লোহা ও ইস্পাত এবং যন্ত্রপাতি ও পরিবহন সরঞ্জামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে উদ্বিগ্ন, সেখানে তারা রাশিয়া থেকে তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, ইভি শিল্পের জন্য প্যালাডিয়াম সার এবং রাসায়নিক আমদানি অব্যাহত রেখেছে। এই পটভূমিতে ভারতের ওপর আক্রমণ অযৌক্তিক। ভারত তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনার জন্য ভারতকে ‘জরিমানা’ও দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন। জরিমানার অঙ্ক সম্পর্কে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সোমবার ফের একই সুরে শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি দিতে শোনা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। যদিও কত বাড়তে পারে শুল্ক, সে বিষয়ে এবারও কিছু স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।