
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর…

মধ্যরাতে শিবির-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

বাবা বাঁচলেও শেষ রক্ষা হয়নি একমাত্র মেয়ের

মুক্তিপণ দিয়েও নূরকে জীবিত পেল না পরিবার

নিখোঁজ শিশু রাইসাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পরিবার

ফেনীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রতীকী ‘গায়েবানা জানাজা’

খুলনায় বিষাক্ত মদপানে আরও ২ মৃত্যু, অসুস্থ কয়েকজন
মুরাদনগরে ধর্ষণ ভাইকে শায়েস্তা করতেই ভিডিও ও মবের পরিকল্পনা

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি ফজর আলীকে শায়েস্তা করতে তার ছোট ভাই শাহ পরানই সেদিন মব তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। ভিডিও ধারণ এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যেও ছিল সে। বৃহস্পতিবার কুমিল্লার বুড়িচং থানার কাবিলা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে আলোচিত এই ধর্ষণ-নির্যাতন মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে ফজর ছোট ভাইকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মেরেছিল। এর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের সন্ধানে ছিল শাহ পরান। তাছাড়া দুই ভাইই ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করত।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ২৬ জুন মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামের ভিকটিম নারী তার বাবার বাড়িতে ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে একই গ্রামের ফজর আলী কৌশলে ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা একই গ্রামের অনিক, আরিফ, সুমন, রমজানসহ অজ্ঞানমানা ৮-১০ ব্যক্তি দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ভিকটিমকে শারীরিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানিসহ অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এইচএম সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ঘটনার ১৫ দিন আগে ভিকটিম তার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ফজর আলী ও শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দুই মাস আগে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জের ধরে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে ফজর আলী ছোট ভাই শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড় মারে।
শাহ পরান এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগের সন্ধানে ছিল। সালিশের কিছু দিন পর ভিকটিমের মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ধার নেয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে ভিকটিমের বাবা-মা নিকটবর্তী এক ব্যক্তির বাড়িতে মেলা দেখতে যায়। এই সুযোগে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে ভিকটিমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে। এর ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে পড়ে শাহ পরান ও ফজর আলীর পূর্বশত্রু একই গ্রামের আবুল কালামসহ অন্যরা।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শাহ পরান স্বীকার করেছে, ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে তার নির্দেশনা মোতাবেক অন্য আসামিদের সহায়তায় এ ঘটনা ঘটানো হয়। এদিকে কুমিল্লা ব্যুরো জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন বলেন, শাহ পরানকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর আমরা আদালতের কাছে তার রিমান্ড চাইব।