বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সত্যবিরোধী, চিন্তা করতে শেখায় না : ড. সলিমুল্লাহ খান

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সত্যবিরোধী, চিন্তা করতে শেখায় না : ড. সলিমুল্লাহ খান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ জুলাই, ২০২৫ | ১১:১০ 78 ভিউ
শিক্ষাব্যবস্থাকে সংস্কার না করা গেলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ ড. সলিমুল্লাহ খান। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) পাঠক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ: কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে তুলতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে তা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ আমাদের দেশে যোগ্য শিক্ষক নেই। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সত্যবিরোধী, যা শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে শেখাচ্ছে না। বর্তমান যে মুনাফাভিত্তিক শিক্ষা গড়ে উঠেছে, এটা দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার জন্য আমাদের ছেলেরা জীবন দেয়নি৷ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সংস্কারের জন্য এই দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ শাসনের পর ১০০ বছর পার হয়ে গেলেও আমাদের দেশের শিক্ষার হার ৮০ শতাংশের বেশি হলো না। এর দায় আমাদেরই নিতে হবে৷ দেশের জিডিপির ২ ভাগও শিক্ষা খাতের পেছনে খরচ করা হয় না। কিন্তু অন্যান্য খাতে ঠিকই কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোটা জরুরি। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে পথ আমরা এরই মধ্যে হারিয়েছি; এর প্রধান কারণ সুশিক্ষার অভাব। আমরা কী জানি কী বুঝি, এসব জানার জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। আমরা ইতিহাস এবং সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারি না। গত ১৫ বছর যেমন স্বৈরশাসনের অধীনে ছিলাম এটা যেমন সত্য, ঠিক একইভাবে গত ৫৩ বছরে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি, এটাও সত্য। সুষ্ঠু রাজনীতি করতে হলে আমাদের গোষ্ঠীগত চিন্তা থেকে বের হতে হবে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যুক্তরাজ্যের সরকারি মানচিত্রে ফিলিস্তিনের নাম ট্রাম্পের হুমকি পাত্তাই দিল না আফগানরা অবশেষে হাত মেলাল ভারত, তবে… রাত ১০টার পরও চলবে মেট্রোরেল ময়লার ভাগাড় থেকে ৫ বস্তা এনআইডি কার্ড উদ্ধার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূরাজনীতিকে প্রভাবিত করবে? বঙ্গোপসাগরে ২ লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, ৫ দিনের পূর্বাভাসে যা জানা গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও সহজ জয় ভারতের গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একীভূত হওয়ার ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে : রাশেদ খান ৩ দেশের স্বীকৃতিতে নাখোশ ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে ৩ দেশের স্বীকৃতিতে কী লাভ? অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতি ভুঁইফোঁড় অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পূর্ণিমা বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে চায় স্টারলিংক সড়কের কাজ কাগজে, বাস্তবে নেই দুই মার্কিন জাহাজ কেনার চুক্তি আজ রাবিতে পোষ্য কোটা স্থগিত ৫ দিনে মূলধন কমেছে দুই হাজার ৬৬১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ২১৩ কোটি টাকা ঘুষ নেন সাইফুজ্জামান সময় বদলে দেদার চলছে রাজধানীর সিসা বার