প্রথম সিনেমায় বাজিমাত, সিক্যুয়েলেও কি থাকছেন সাবিলা-ফারিণ?

প্রথম সিনেমায় বাজিমাত, সিক্যুয়েলেও কি থাকছেন সাবিলা-ফারিণ?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ জুন, ২০২৫ | ১১:৩৮ 23 ভিউ
ঈদে জমে উঠে ঢাকাই সিনেমার বাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিবারের মতো কুরবানি ঈদেও মুক্তি পেয়েছে ছয়টি সিনেমা। এগুলো হলো- ‘তাণ্ডব’, ‘ইনসাফ’, ‘টগর’, ‘উৎসব’, ‘নীলচক্র’ ও ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। ঈদের দিন থেকেই সিনেমাগুলো নিয়ে চলছে আলোচনা। এমনিতে টানা কয়েকবছর ধরেই ঈদের সিনেমা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে তুঙ্গে। বেশ কিছু সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে কিছুটা সক্ষম হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কয়েকটি সিনেমার প্রতি দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমাগুলোর সিক্যুয়াল বানানোর দাবিও তুলেছেন অনেকে। ঈদে দর্শক আগ্রহে থাকা আলোচিত দুই সিনেমা রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তাণ্ডব’ ও সঞ্জয় সমদ্দারের ‘ইনসাফ’। এ দুই সিনেমায় নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেছেন নাটকের জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী সাবিলা নূর ও তাসনিয়া ফারিণ। দুটি সিনেমারই সিক্যুয়াল নির্মিত হবে, এমনটাও জানিয়েছেন নির্মাতাদ্বয়। এই সিদ্ধান্ত জানার পর থেকেই নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রথম কিস্তির মতো সিক্যুয়ালেও কি থাকছেন এ দুই অভিনেত্রী? যদিও নির্মাতারা এ নিয়ে এখনই কোনো কিছু জানাননি। শুধু সিক্যুয়াল ঘোষণার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছেন আপাতত। অভিষেকেই মুগ্ধতা ছড়ালেন সাবিলা ঈদে শাকিব খানের বিপরীতে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে সাবিলা নূরের। সিনেমাটি ১৩২ হলে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন থেকেই এটি দর্শক আগ্রহে রয়েছে। বলা যায়, ঈদ সিনেমার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এটি। প্রথম সিনেমা দিয়েই অভিনয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সাবিলা। যদিও এ সিনেমাটি ছিল এ অভিনেত্রীর জন্য অগ্নিপরীক্ষা। বলা যায়, সে পরীক্ষায় অনেকটাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। অভিষেক সিনেমায় হোঁচট খেলে হয়তো রুপালি জগতে তার পথচলা অনেকটা কঠিন হয়ে যেত। সেদিক বিবেচনায় বলা যায় সাবিলার বিপদ কেটেছে। দর্শক প্রশংসার পাশাপাশি এ অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নির্মাতা রাফী। তিনি বলেন, সিনেমাতে সাবিলাকে যখন কাস্ট করা হয় তার প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। এটি এখন দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। নায়িকা হিসেবে সাবিলাও সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সাবিলা নূর বলেন, সিনেমায় আমি প্রথম। বলা যায়, এর মধ্যদিয়ে বড়পর্দার সবকিছুতেই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। প্রথমে অনেকটা নার্ভাস ছিলাম। হয়তো ধীরে ধীরে সেটি কেটেছে। সিনেমা মুক্তির পর দর্শক প্রতিক্রিয়ার এখন মনে হচ্ছে আমি সত্যিই লাকি। এদিকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার সিক্যুয়াল বানানোর ঘোষণা এরইমধ্যে দিয়েছেন নির্মাতা। যা সিনেমার শেষে পর্দায়ও দেখা গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিক্যুয়ালেও কি সাবিলা থাকছেন? এছাড়াও সিনেমাটিতে ক্যামিও চরিত্রে বিশেষ উপস্থিতি ছিল সিয়াম আহমেদ ও আফরান নিশোর। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে এ চরিত্রগুলোও কি সিক্যুয়ালে থাকবে? এসব প্রশ্নের উত্তরে নির্মাতা বলেন, হলিউড-বলিউডে যেমন নির্দিষ্ট ঘরানার সিনেমা নিয়ে ‘ইউনিভার্স’ তৈরি হয়, ‘তাণ্ডব-২’তে তেমন একটা কিছু হতে চলেছে। যে ইউনিভার্সের কথা আমরা বলছি, সামনে সেটা নিয়ে আরও বিস্তারিত বলব। সময় আসুক, সবাই জানতে পারবেন। বাণিজ্যিক সিনেমায় অনবদ্য ফারিণ ‘ইনসাফ’র মধ্য দিয়ে প্রথমবার বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা হলেন তাসনিয়া ফারিণ। তবে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত এটি এ অভিনেত্রীর দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে ‘ফাতিমা’ নামে একটি সিনেমা করেছিলেন, যা গত বছরে মুক্তি পায়। তবে প্রথমবার বাণিজ্যিক সিনেমায় অ্যাকশন মুডে ফারিণ যেন অন্যরুপে হাজির হয়েছেন দর্শকদের সামনে। এমন ফারিণকে দেখে মুগ্ধ দর্শক। ঈদের দিন থেকে সিনেপ্লেক্স মাল্টিপ্লেক্স মিলিয়ে ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় সমদ্দার। এতে ফারিণ জুটি বাঁধের শরিফুল রাজের সঙ্গে। সিনেমাটিতে গুরুত্বপুর্ণ এক নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এদিকে প্রথমবার বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করলেও, বেশ তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ফারিণ। অভিনেত্রীকে এভাবেই মূল্যায়ন করে নির্মাতা সঞ্জয় বলেন, তাসনিয়া ফারিণ নাটক ও ওটিটি কনটেন্টের পরীক্ষিত অভিনেত্রী। তার অভিনয়ের প্রতি আস্থা ছিল। ইনসাফের চরিত্রটির জন্য তিনি দারুণ পরিশ্রম করেছেন। চরিত্রটির গভীরতাও বেশ। এর জন্য ফারিণ সেরা চয়েস ছিল। যারা সিনেমাটি দেখেছেন সবাই ফারিণের প্রশংসা করেছেন। কারণ, এটি গতানুগতিক নায়িকার চরিত্র নয়। ফারিণ বলেন, আমি নিজেকে সবসময় ভিন্ন জায়গায় নিতে চেয়েছি। এখন আমার ধ্যান-জ্ঞান সিনেমা। সেই জায়গা থেকে মনে হয়েছে এ সিনেমাটি আমাকে ভিন্ন একটি জায়গা তৈরি করে দিতে সহায়তা করবে। দর্শকদের ভালোবাসায় মনে হয়েছে আমি সঠিক পথেই আছি। এদিকে সিনেমাটির সিক্যুয়াল নির্মাণের কথা গণমাধ্যমে একাধিকবার বলেছেন করেছেন নির্মাতা সঞ্জয়। এ সিনেমাতেও ক্যামিও চরিত্রে উপস্থিতি ছিল চঞ্চল চৌধুরীর। প্রশ্ন হচ্ছে ফারিণসহ বিশেষ চরিত্রের অতিথী শিল্পীও কি থাকবেন সিক্যুয়ালে? এমন প্রশ্নে নির্মাতা বলেন, “আমাদের আরও বড় পরিকল্পনা আছে ‘ইনসাফ-২’ নিয়ে। এজন্যই এ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর আলাদা লুক ও মোশাররফ করিম-ফারিণদের আলাদাভাবে প্রেজেন্ট করেছি। এদের উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।” এদিকে সাবিলা-ফারিণদের সিক্যুয়ালে থাকার বিষয়টি নিয়ে নির্মাতারা স্পষ্ট করে কিছু না বললেও তাদের মন্তব্য থেকে পজিটিভ ধারণা করা যাচ্ছে দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে। এছাড়াও এ দুই অভিনেত্রী নাটক-ওটিটি কনটেন্টে কাজ করে নিজেদের প্রস্তুত করেই বড়পর্দায় আসছেন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বড়পর্দার দর্শকদের কাছেও গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছেন প্রথম সিনেমা দিয়েই। তাই এবারের ঈদ দুই অভিনেত্রীর কাছে শুধুই উৎসব নয়, স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাবার প্রথম সিঁড়িও বলা যেতে পারে। তবে সিক্যুয়ালের বিষয়ে অভিনেত্রীরা কোনো মন্তব্য করেননি।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যে রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের উপরে শুধু গেইল মেয়েদের পুরস্কার দেবে বাফুফে বাবার জন্য দাবা, ছেলের কথা রাখলেন মা মা হতে চান জয়া আহসান ‘বেবিটা আমার বোনের’, গুজব নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা ঢালিউডে ছ’মাসে ২২ সিনেমা, কতটুকু ফুটলো আশার ফুল? ১৮৫ সিনেমার মহাতারকা শবনম, ২৫ বছর ধরে ভালো গল্পের অপেক্ষায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই