
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ভাঙা সড়কে ধানের চারা রোপণ, সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবকের কাণ্ড

বাঁশের সঙ্গে ‘নৌকা’ ঝুলিয়ে আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন প্রবাসী আতিক

২১ ঘণ্টা পর লিটনের মরদেহ ফেরত দিল ভারত

মেঘনায় ডুবে গেল ৭ বাল্কহেড, ১৩ জনকে উদ্ধার

র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবাকে মারধর
পরশুরাম সীমান্তে রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ভারতের খাল খননের চেষ্টা

ফেনীর পরশুরামে নোম্যান্স ল্যান্ডে ভারতীয় বিএসএফ খাল খননের চেষ্টা করলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয়দের বাধায় পিছু হটেছে বিএসএফ ও ভারতীয়রা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে বল্লামুখার বেড়িবাঁধ থেকে প্রায় ১০০ গজ উত্তরে নোম্যান্স ল্যান্ডের ১৫০ মিটারের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা নরুন নবী ও মোবারক হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে স্কেভেটর ও যন্ত্রপাতি নিয়ে খাল খননের চেষ্টা করে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। সীমান্তের পিলার থেকে ২০-৩০ গজ ভেতরে তারা খনন করার চেষ্টা করে। আমরা বিজিবির সঙ্গে উপস্থিত থেকে তাদের বাধা দিলে তারা চলে যায়।
স্থানীয় সংবাদকর্মী গাজী মাসুদ রানা ও সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, বল্লামুখার বাঁধ কাটতে নয়, ভারত তাদের জায়গায় পূর্বের খননকৃত খাল খননের কাজ পুনরায় শুরু করতে চাইলে ২০ ফুট জায়গা নোম্যান্স ল্যান্ডের মধ্যে হওয়ায় বিজিবি বাধা দিয়েছে। ভারতীয়রা সেখান থেকে সরে গেছে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বিজিবি ও স্থানীয়রা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, ভারতের সুবিধার্থে সীমান্তে টিলা কেটে পানি বাংলাদেশের ভেতরে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিজিবি ও স্থানীয় মানুষ এটি প্রতিরোধ করেছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। এ ধরনের কাজ আমরা করতে দেব না।
বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ অংশে বাঁধ দেওয়ার ফলে যে পানি জমে তা সরানোর জন্য তারা একটা মোটা ড্রেন করে ভারতের অংশে। শূন্য লাইন থেকে ভারতের দিকে ১৫০ গজের মধ্যে পড়ায় সেটার আমরা প্রতিবাদ করি। নোম্যান্স ল্যান্ডে স্থাপনা তৈরি উভয় দেশের আইনে নিষেধ রয়েছে। তাদের খাল খননের জায়গা নোম্যান্স ল্যান্ডে হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বিজিবি-বিএসএফ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।