জার্মানিতে কেমন আয় করেন অভিবাসীরা, যা বলছে গবেষণা

জার্মানিতে কেমন আয় করেন অভিবাসীরা, যা বলছে গবেষণা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ জুলাই, ২০২৫ | ১১:১৩ 42 ভিউ
উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মতো উন্নত দেশে পাড়ি জমান বহু মানুষ। মূল লক্ষ্য- ভালো আয় করে পরিবারকে সুখে রাখা। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অনেক সময় সেই স্বপ্নের মতো হয় না। বিদেশে গিয়ে শুধু সামাজিক নয়, বরং অর্থনৈতিক বৈষম্যেও পড়তে হয় অভিবাসীদের, বিশেষ করে আয়সংক্রান্ত ক্ষেত্রে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে উঠে এসেছে এই বাস্তবতা। জার্মানির ন্যুরেমবার্গে অবস্থিত জার্মান ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চ পরিচালিত গবেষণাটিতে মূলত জার্মানিতে অভিবাসীদের আয়ের বৈষম্য ও তাদের অবস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানিতে অভিবাসীরা স্থানীয় জার্মান নাগরিকদের তুলনায় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ কম আয় করেন। শুধু প্রথম প্রজন্ম নয়, দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসীরাও আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। গবেষণায় জার্মানি ছাড়াও কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, স্পেন ও নেদারল্যান্ডসসহ আটটি পশ্চিমা দেশের অভিবাসী জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, সব দেশেই কমবেশি আয়বৈষম্য রয়েছে। তবে সুইডেন ও কানাডা কিছুটা সফল হয়েছে এই ব্যবধান কমাতে। বিশেষত, দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে এ বৈষম্য অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তবে জার্মানিতে দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসীদের আয়বৈষম্য এখনো গড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক গড় ৫ দশমিক ৭ শতাংশের চেয়েও বেশি। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত অভিবাসীদের উত্তরসূরিরাও এখনো অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আয়ের বৈষম্য দেখা গেছে স্পেনে (২৯.৩ শতাংশ)। এরপর রয়েছে কানাডা (২৭.৫%), নরওয়ে (২০.৩%), জার্মানি (১৯.৬%) এবং ফ্রান্স (১৮.৯%)। গবেষকদের মতে, অভিবাসীদের অর্থনৈতিকভাবে সমতা নিশ্চিত করতে হলে শুধু চাকরির সুযোগ নয়, প্রয়োজন বৈষম্য হ্রাসে দীর্ঘমেয়াদি এবং পরিকল্পিত নীতিমালা। বিশেষ করে দ্বিতীয় প্রজন্মের শিক্ষার মান উন্নয়ন, ভাষা শেখার সুযোগ এবং শ্রমবাজারে প্রবেশের বাধা দূর করার দিকেই জোর দিতে হবে। এই গবেষণা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা- আন্তর্ভুক্তির নীতিতে আরও সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রাতের আঁধারে চুপিচুপি প্রেমিকার ঘরে ঢুকে ঘুমিয়েই পড়লেন প্রেমিক! ঘুম ভাঙতেই যা ঘটল সচিবালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধসহ ৭ নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্ট-প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ রামগতিতে ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত বেড়ে ২ নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুতিন, দাবি জেলেনস্কির রিয়া মনির তালাক-নোটিশ পেয়ে জানাজার দিনক্ষণ জানালেন হিরো আলম ‘আপনাকে কে বসিয়েছে তার কলিজা খুলে ফেলব’— শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে বিএনপি নেতার হুমকি ‘চাঁদা তুললে পুরস্কার, ধরা পরলে বহিষ্কার ও ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার’ এইবার আর চুপ নয় সমস্ত শক্তি দিয়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব: কৃষ্ণা বালা রানী ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক ঢাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মহাসমাবেশ আজ সবসময় ভেবেছি শিল্পীসত্তা যেন বিক্রি না হয়ে যায়: ঋতাভরী ইসির হারানো ক্ষমতা ফিরছে, জোট হলেও ভোট নিজ প্রতীকে আবাসন সংকটে ডিএমপি, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্কে রাত কাটে পুলিশের স্থলপথে বাংলাদেশের আরও ৪ পাটপণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বেলুচিস্তানের মাজিদ ব্রিগেডকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, খুবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি রাবি উপাচার্যের বাসভবনের গেটে তালা দিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ডাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু মঙ্গলবার আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আছি, প্রেমের কথা স্বীকার করলেন জয়া