কানে নিষিদ্ধ খোলামেলা পোশাক

কানে নিষিদ্ধ খোলামেলা পোশাক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ মে, ২০২৫ | ১১:৪৮ 44 ভিউ
ফ্রান্সে ৭৮তম ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ গত মঙ্গলবার (১৩ মে) থেকে শুরু হয়েছে। প্রতিবারের মতো এ বছরও লালগালিচায় দেখা যাবে বলিউড তারকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের জনপ্রিয় তারকাদের। এবার এ আসরে উপস্থিত থাকছেন হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ, রবার্ট ডি নিরো, ওয়েস অ্যান্ডারসনের মতো বিশ্ব তারকা। প্রতিযোগিতায় রয়েছে বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত অসাধারণ ২২টি সিনেমা। ২৪ মে শেষ হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা মর্যাদাপূর্ণ এ উৎসব। এটি যতটা সিনেমার প্রতিযোগিতা, ঠিক ততটাই হয়ে ওঠে তারকাদের ফ্যাশন আর সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা। কানে উপস্থিত প্রত্যেক তারকা তার সবচেয়ে জমকালো ও সুন্দর পোশাক আর সৌন্দর্য নিয়ে উপস্থিত হন কানের লালগালিচায়। কার চেয়ে ফ্যাশনে এগিয়ে থাকবেন, তাই নিয়ে একপ্রকার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন তারকারা। বিশেষ করে অভিনেত্রীরা এ আসরে একপ্রকার এক্সপেরিমেন্ট চালান পোশাক নিয়ে। অনেকে হাজির হন একেবারে খোলামেলা পোশাকে। কিন্তু এবার বদলে গেছে আগের নিয়ম। 'নগ্নতা' বা খোলামেলা পোশাক উপস্থাপন করা যাবে না। এবার কানের লালগালিচায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নগ্নতা’ ও ‘অতিরিক্ত লম্বা’ পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো নগ্ন পোশাকে নিজেকে উপস্থাপন করা যাবে না। ২০২২ সালে কানের লালগালিচায় একজন বিক্ষোভকারী টপলেস হয়ে হাজির হওয়ার ফলস্বরূপ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ছাড়া বছরের শুরুতে গ্র্যামিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন বিয়াঙ্কা সেনসোরি। তিনি অতিরিক্ত স্বচ্ছ পোশাক পরে হাজির হয়েছিলেন। যাতে তার শরীরের পুরো অবয়ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে এটিও কারণ বলে জানা গেছে। উৎসবের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও ফরাসি আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কান উৎসব একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেছে। কান চলচ্চিত্র উৎসব তার সনদে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা কার্যকর কিছু নিয়ম স্পষ্ট করে দিয়েছে। লক্ষ্য— পোশাক নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বরং অনুষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও ফরাসি আইন অনুসারে লালগালিচায় পূর্ণ নগ্নতা নিষিদ্ধ করা। যাদের পোশাক অন্যান্য অতিথির চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে কিংবা স্ক্রিনিং রুমে বসার ব্যবস্থা জটিল করে তুলতে পারে, তাদের প্রবেশাধিকারে বাধা দেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। এই দীর্ঘ ও অতিরিক্ত প্রশস্ত পোশাক অতিথিদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং থিয়েটারে বসার ব্যবস্থা জটিল করে তোলে। এমনকি গালা স্ক্রিনিং চলাকালীন টোট ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক এবং বড় ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যে রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের উপরে শুধু গেইল মেয়েদের পুরস্কার দেবে বাফুফে বাবার জন্য দাবা, ছেলের কথা রাখলেন মা মা হতে চান জয়া আহসান ‘বেবিটা আমার বোনের’, গুজব নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা ঢালিউডে ছ’মাসে ২২ সিনেমা, কতটুকু ফুটলো আশার ফুল? ১৮৫ সিনেমার মহাতারকা শবনম, ২৫ বছর ধরে ভালো গল্পের অপেক্ষায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই