ইপিআই বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে জনবলের ঘাটতি

ইপিআই বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে জনবলের ঘাটতি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:১৫ 24 ভিউ
বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে জনবলের ঘাটতি। এছাড়া অঞ্চলভিত্তিতে টিকাকেন্দ্রের অসম বণ্টন, অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, টিকার অপর্যাপ্ততার মতো সমস্যাও রয়েছে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বক্তব্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ গবেষণায় (২০২৪) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে টিকা কার্যক্রমে জনবলের ঘাটতি। এসবের মধ্যে রয়েছে অঞ্চলভিত্তিক টিকাকেন্দ্রের অসম বণ্টন, অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, টিকার অপর্যাপ্ততা, টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব, দুর্গম এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টিকা পরিবহনজনিত সমস্যা, টিকাদান সম্পর্কিত প্রচারণার অভাব ইত্যাদি। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহর ও গ্রামে টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দকৃত জনবলের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ পদ এবং ইপিআই সদর দপ্তরে ৪৩ শতাংশ পদ এখনো শূন্য রয়েছে। এছাড়া বরাদ্দকৃত জনসংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। আরবান ইমিউনাইজেশন স্ট্রাটেজি-২০১৯ এবং ইপিআই মাইক্রোপ্ল্যান-২০২৪ অনুসারে প্রতি পঞ্চাশ হাজার জনসংখ্যার জন্য ৬ জন টিকাদানকর্মী প্রয়োজন, যা বাংলাদেশে এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাছাড়া জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুসারে টিকাদান কেন্দ্রের অসম বণ্টন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে দুর্গম এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যে সংখ্যায় টিকাদানকেন্দ্র থাকা দরকার সেই সংখ্যক টিকাদান কেন্দ্র নেই। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে। সেগুলো হলো- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহর ও গ্রামে টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দকৃত জনবলের মধ্যে যে শূন্যপদ আছে সেখানে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া, জনসংখ্যা ভিত্তিক জনবলনীতি অভিযোজন করা, জনসংখ্যার ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে টিকা কেন্দ্রের সুষম বণ্টন, প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা ইত্যাদি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন গবেষণা প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, এমএনসি এএইচের ডিরেক্টর ডা. এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ প্রমুখ।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত আগামী ৫ দিন যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ ভারতের ২০টি যুদ্ধবিমান টার্গেট করেছিল পাকিস্তান গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে কেমন আচরণ করল ইসরায়েলি সেনারা যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি কারফিউ ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ যাদের ফের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা আরও ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত দেশেও করোনার নতুন ধরন সড়কে আবেদনময়ী পোস্টার, ভারতে ৪০টি দুর্ঘটনা কালো জাদুর শিকার হয়েছিলাম : মিষ্টি জান্নাত থাকতে থাকতে নাই, অথবা একটু থেকেও নাই : চঞ্চল চৌধুরী শাকিব-অপুর নতুন গুঞ্জনে যা বললেন বুবলী ত্রাণের নামে মরণ ফাঁদ, ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি প্রতিরাতে শতাধিক ট্রাক বালু লুট, সশস্ত্র মহড়া পিছিয়ে পড়ে আলমাদার গোলে ড্র করল ১০ জনের আর্জেন্টিনা শতকোটি টাকার পাথর ১৭ কোটি শার্শায় বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা অসুস্থ ও আহত যুদ্ধবন্দিদের বিনিময় করল রাশিয়া ও ইউক্রেন