
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

এবার হলিউড সিনেমায় শাকিব খান!

দেশ ছাড়ার আগে যা বললেন মাহিয়া মাহি

ধর্ষণের অভিযোগ তোলা সেই তরুনীকে বিয়ে করলেন গায়ক নোবেল

গায়ক নোবেলের সঙ্গে ইডেনের সাবেক শিক্ষার্থীর বিয়ে সম্পাদনের নির্দেশ

সব ছেড়ে আধ্যাত্মিকতায় জ্যাকুলিন, কে দেখালেন আলোর দিশা

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম কোন কাজটি করেন আমির

ডন হয়ে পর্দায় আসছেন আনুশকা শেঠি!
৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্র-সম্পাদক দুলু মারা গেছেন

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু আর নেই। রাজধানীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর সাড়ে বারটার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুজিবুর রহমান দুলুর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এর আগে শুক্রবার (৩০ মে) হাসপাতালে এই খ্যাতনামা চিত্র সম্পাদককে দেখতে যান এডিটর গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু। এরপর তিনি জানান, ছোট ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বড় ছেলে দেশের বাইরে থাকায় ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীর সাথেই থাকতেন খ্যাতিমান এই চিত্র সম্পাদক। বড় ছেলের অবর্তমানে সব সম্পত্তি ছোট ছেলের নামে লিখে দিতে দীর্ঘদিন যাবত মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন তার ছোট ছেলে ও ছেলের স্ত্রী। ছোট ছেলের এরকম অনৈতিক আবদার ও চাপে রাজী না হওয়াতেই দেশবরেণ্য এই চিত্র সম্পাদককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে ছেলে ও ছেলের বউ। নির্যাতনের নির্মমতায় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ছেলে ও ছেলের বউ অন্যরুমে চলে যায়। তখন প্রতিবেশিরাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এই ঘটনায় তখন তিনি দুলুর ছোট ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মুজিবুর রহমান দুলুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুলু দীর্ঘদিন তিনি কিডনি জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চলচ্চিত্রের এই গুণী। এর আগে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান। এরপর হাঁটাচলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি।
আগামীকাল বাদ মাগরিব জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘নয়ন মনি’ ছবির মধ্য দিয়ে নিজের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন মজিবুর রহমান দুলু। পরবর্তীতে ‘সুজন সখী’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘অভাগী’, ‘নাত বৌ’, ‘প্রাণ সজনি’, ‘ভাত দে’, ‘তিন কন্যা’, ‘ভেজা চোখ’, ‘সত্যমিথ্যা’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘বাংলার বধূ’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘নাগর দোলা’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘৭১ এর মা জননী’সহ চাহিদার নিরীখে প্রায় তিন শতাধিক ছবিতে সম্পাদনার কাজ করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।