
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন

‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’

সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি

আবর্জনায় ছেয়ে গেছে আমেরিকার বিভিন্ন শহর, বিপর্যস্ত নগরজীবন

হতাহতের সর্বশেষ তথ্য জানাল জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট

রাতে ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কন্যা

১০ দিন ধরে বন্ধ পাওয়ার স্টেশন, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সিলেটের জনজীবন
শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ভূমিকা নিয়ে যা বললেন ব্রিগেডিয়ার আযমী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আজমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, ‘শেখ সাহেব ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’
২৫ মার্চ একাধিক বিদেশি টিভি চ্যানেলের কাছে সুস্পষ্টভাবে তিনি বলেছেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চান না’।
মঙ্গলবার (২০ মে) নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
‘প্রসঙ্গ: স্বাধীনতার রূপকার’ শিরোনামে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘একথা সবাই জানেন যে, শেখ সাহেব অখণ্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন দেশ তিনি গড়তে চাননি। কেউ তা প্রমাণ করার মতো কোনো দলিল দিতে পারবেন না।’
‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, ২৫ মার্চ পাকবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট শুরু করার অনেক আগেই সকল বেতার ও টেলিফোন ভবন তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বলে শেখ সাহেব চাইলেও ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ চট্টগ্রামে পাঠানো সম্ভব ছিল না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আরও হাস্যকর ব্যাপার হলো, ২৫ মার্চ রাতে শেখ সাহেব কি করে জানতেন যে তৎকালীন মেজর জিয়া, ৮ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক, উর্দুভাষী অধিনায়ককে হত্যা করে ব্যাটালিয়ন নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন? সুতরাং ‘শেখ সাহেব তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন’ এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
আমান আযমী লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের সব নেতারা ভারতে পালিয়ে যাবার পর, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ তাজউদ্দীন সাহেব সম্পূর্ণ এককভাবে পাঁচ সদস্যের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয়েছে বলে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে জানিয়ে তার সাহায্য কামনা করেন, যদিও তখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গেও উনার দেখা বা কথা হয়নি।’
এছাড়া, ‘কাউকে স্বাধীনতার রূপকার আদৌ বলা যাবে কিনা তা গবেষণার বিষয়’ উল্লেখ করে আমান আযমী আরও লেখেন, ‘তবে, শেখ সাহেবের ৭ মার্চ এর ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে ক্যাটালিস্ট এর মতো কাজ করেছে। কার নেতৃত্ব স্বাধীন হয়েছে এটাও একটা বড় প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিবেচনায় তাজউদ্দীন সাহেবের নেতৃত্বই ১৯৭১ সালে মূল ভূমিকা পালন করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যান্য নেতাদের কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকাই ছিল না।’
ফেসবুক পোস্টের শেষে আমান আযমী জানান, ‘সকল বিষয় বিবেচনা করে, আমার বাবা শেখ সাহেবকে স্বাধীনতার ‘স্থপতি’ বলেছেন। আমার মূল্যায়নে এটাই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত।’
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।