
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৩১ দফাই দেশের মানুষের মুক্তির সনদ: দুলু

চট্টগ্রামে চামড়া বিক্রি শুরু, লাভ নিয়ে শঙ্কায় আড়তদাররা

যমুনা সেতু এলাকায় ৩৫ কিলোমিটার যানজট

সীতাকুণ্ডে ঝরনায় নেমে পর্যটকের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

যেখানে দাঁড়িয়ে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন মেজর জিয়া

কুমিল্লায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত
লালপুরে কুরবানির হাট মাতাচ্ছে সম্বল

নাটোরের লালপুরে কুরবানির হাট মাতাচ্ছে ২০ মণ ওজনের আবেগী গরু ‘সম্বল’। অপরিচিত কেউ বাড়িতে প্রবেশ করলেই কেঁদে ফেলে ‘সম্বল’। হয়তো ভাবে- এবার তাকে তুলে দেওয়া হবে, বাজারে বিক্রি করার জন্য।
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর স্টেডিয়ামপাড়া গ্রামের রনি মিয়ার খামারে বেড়ে ওঠা এই ষাঁড় যেন হয়ে উঠেছে পরিবারের একজন।
চার বছর ধরে সন্তানের মতো লালন–পালন করা সম্বলের ওজন এখন ২০ মণের বেশি। শুধু বড় দেহ নয়, তার আচরণেও যেন ফুটে ওঠে মানুষের মতো আবেগ। বসতে বললে বসে, দাঁড়াতে বললে দাঁড়ায়, দাঁত দেখাতে বললে দাঁতও দেখায়। মালিকের গালে চুমুও দেয় আদরে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রনি মিয়া গরুটির দাম হাঁকছেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, কুরবানির গরুটি দেখতে এসেছেন কয়েকজন ক্রেতা। তবে সম্বল যেন কারও দিকে তেমন নজর দেয় না, কেবল পরিচিত মুখগুলোর দিকে তার টান। চোখ দিয়ে ঝরছে অশ্রু।
মালিক রনির ডাকে সাড়া দিয়ে সে এগিয়ে আসে, মাথা ঝুঁকিয়ে চুমু দেয় গালে। একপাশে বসে থাকা রনির মা গরুটির পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করছেন, চোখে-মুখে যেন মায়া ঝরছে।
এ সময় কথা হয় রনি মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, নিজ খামারের বাছুর ছিল। গত চার বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। আমার মা যেমন আমাকে আদর করেন, তেমনি সম্বলকেও আদর করেন। তার সঙ্গে একটা আত্মার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্বলকে যা বলি তাই শোনে। বসতে বললে বসে, দাঁড়াতে বললে দাঁড়ায়। দাঁত দেখাতে বললে দাঁত দেখায়, আবার কাছে এলে চুমু দেয়। ওকে ছেড়ে দেওয়া খুব কষ্টের।
রনি জানান, এবার গরুর বাজার ভালো যাচ্ছে না। দামও তেমন পাচ্ছি না। সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি, কিন্তু তাতেও খরচ উঠবে না। গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। চার বছর ধরে অনেক খরচ করেছি।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এ বছর কুরবানির জন্য প্রস্তুত গরুগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। আমরা খামারি রনি মিয়াকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছি।