
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

অল্প দিনেই বেশ আলোচনা-সমালোচনার পাত্র ওসি ফরিদ আহমেদ

মীরসরাইয়ে স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক যুবককে গণপিটুনি

ভাঙ্গুড়ায় ট্রাকচাপায় পিষ্ট হয়ে পিতা পুত্রের মৃত্যু

চাঁদা না পেয়ে ৬ শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করেছে যুবদল নেতা

কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

যমুনা সেতুর পূর্বপাড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক যুবক নিহত

বিজয়নগরে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ

বালু ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুরে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। আহত হয়েছেন ১০ জন। এ সময় পাঁচটি বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন-একই এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার এবং তাদের চাচাতো ভাই মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার।
পুলিশ জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। অপর আরেক পক্ষ একই এলাকার একই বংশের হোসেন সরদার বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এতে অপর পক্ষ বালু উত্তোলন করতে বাধা দেন। এরই জেরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুল সরদারের ওপর হামলা চালায় হোসেন সরদারের লোকজন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের বড় ভাই আতাউর সরদার, আরেক ভাই অলিল সরদার ও তার পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় প্রাণ রক্ষা করতে তিন ভাই দৌড়ে মসজিদের মধ্যে লুকিয়ে পড়েন। পরে সেখান থেকে তাদের টেনেহিঁচড়ে ও কোপাতে কোপাতে বাইরে বের করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই সাইফুল ও আতাউর মারা যান। চাচাতো ভাই পলাশকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পলাশের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মাসুদ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এছাড়া নিহতদের ভাই অলিল সরদার ও আজিজুল হকের ছেলে তাজেল সরদার গুরুতর আহত হন। তাদের প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আরও আহতরা হলেন নিহত সাইফুলের স্ত্রী সতি বেগম, নিহত আতাউরের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, রোজিনা বেগম প্রমুখ। আহতরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহতদের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘হোসেন সরদার ও শাজাহান খাঁর লোকজন আমার দুই ছেলেকে হত্যা করেছে। আরেক ছেলের অবস্থাও গুরুতর। এই হত্যার বিচার চাই।’
নিহতদের বোন হাফিজা বেগম বলেন, ‘আমাদের সব শেষ করে দিল। আমাদের বংশ শেষ করে দিল। আল্লাহর ঘরে লুকিয়েও আমার ভাইরা রক্ষা পেল না। তাদের মসজিদের ভেতর থেকে বের করে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের বিচার আল্লাহই করবেন।’ নিহত পলাশের চাচাতো ভাই মো. জাফর সরদার বলেন, ‘মারামারির ঘটনা দেখতে গিয়ে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন পলাশ। পলাশ কোনো পক্ষের নয়।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ‘এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে অভিযান চলমান আছে।’
নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে।