তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়

তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৩৩ 27 ভিউ
প্রায় তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট চারদিনে হারার পর বুধবার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। চট্টগ্রামে সোমবার শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। শেষ অনেক দিন ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে আছেন এনামুল। জাতীয় ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে চারটি সেঞ্চুরি করার পুরস্কার পেলেন ৩২ বছর বয়সি কিপার-ব্যাটার বিজয়। কাল আবাহনীর বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন বিজয়। তাকে জায়গা করে দিতে দলের বাইরে চলে যেতে হয়েছে জাকির হাসানকে। তিনি অবশ্য একাদশে ছিলেন না। যারা একাদশে ছিলেন সে মাহমুদুল হাসান জয় আর সাদমান ইসলামদের কেউই বড় রান করতে পারেননি, দুই ইনিংসে ওপেনিং থেকে এসেছে সব মিলিয়ে ৪৪ রান। সাদমান দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে ১২ ও ৪ রান। জয়ের রান যথাক্রমে ১৪ আর ৩৩। তবু তারা টিকে গেছেন চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে। এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অমিত হাসানের জায়গা না পাওয়াও আছে আলোচনায়। জাতীয় লিগে ৭৮৫ রান করা এই ব্যাটার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও একটি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি করেছেন। তবু কেন তিনি নেই, এ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা বিসিবির পক্ষ থেকে আসেনি। তবে যেহেতু ওপেনারের বদলে আনা হয়েছে এনামুলকে, তা থেকে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়। সিলেটের এই ব্যাটার জাতীয় লিগে খেলেছেন ৪ নম্বরে, মিডল অর্ডার নিয়ে নির্বাচকদের ‘ভাবনা নেই’ বলেই হয়তো দলে আসতে পারেননি জাতীয় লিগের সেরা এই পারফর্মার। এদিকে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে যাবেন পেসার নাহিদ রানা। তাই তার জায়গায় নেওয়া হয়েছে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে। টেস্ট দলে প্রথম ডাক পেলেন তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল ইসলাম, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ ও তানজিম হাসান।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যে রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের উপরে শুধু গেইল মেয়েদের পুরস্কার দেবে বাফুফে বাবার জন্য দাবা, ছেলের কথা রাখলেন মা মা হতে চান জয়া আহসান ‘বেবিটা আমার বোনের’, গুজব নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা ঢালিউডে ছ’মাসে ২২ সিনেমা, কতটুকু ফুটলো আশার ফুল? ১৮৫ সিনেমার মহাতারকা শবনম, ২৫ বছর ধরে ভালো গল্পের অপেক্ষায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি সংসদ নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও নেই