চালের বাজারে আগুন, বিপাকে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা

চালের বাজারে আগুন, বিপাকে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জুলাই, ২০২৫ | ৬:৪৬ 39 ভিউ
সোমবার রাজধানীর মালিবাগ, মোহাম্মদপুর ও কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে মিনিকেট চালের বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ৩০০ টাকা। ৭০-৭২ টাকা কেজি থাকলেও এখন ৭৮-৮০ টাকা। ৫৪-৫৫ টাকার ব্রি-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়। আর নাজিরশাইল কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা। বেশি দামে বিক্রি করলেও যৌক্তিক কারণ জানেন না ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিক ধান সংগ্রহ করে কৃত্রিমভাবে চাল মজুত করছেন। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। বিক্রেতারা জানান, সরু চালের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটা ও মাঝারি দানার চালের দামও বাড়ছে। দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিকে দেশজুড়ে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। বাজারে প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এমনিতেই নাগালের বাইরে, তার ওপর চালের বাজারে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি জনমনে ক্ষোভ এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। চলতি মৌসুমে খরার কারণে ধানের উৎপাদন অনেক এলাকায় কম হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলায় পানির স্বল্পতা ও আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ফসল উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে। কিছু অসাধু মিলার ও আড়তদার চাল মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বাড়ছে। নানা অযুহাতে পরিবহন খরচ বেড়েছে, যার প্রভাব সরাসরি পণ্যমূল্যে পড়ছে। অন্যদিকে দেশীয় উৎপাদনের ঘাটতি মেটাতে কিছু চাল আমদানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, কিন্তু বৈশ্বিক বাজারেও দাম বেড়েছে এবং ডলার সংকটের কারণে আমদানিও ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জন্য এই মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনমজুর, রিকশাচালক, গার্মেন্টসকর্মী, স্বল্প আয়ের চাকরিজীবীরা প্রতিদিনের খাবারে চালের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন বা কম মানের চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সাবিনা আক্তার, এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, ‘আগে ১০ কেজি মিনিকেট কিনতাম ৭৫০ টাকায়, এখন সেটা ৯০০ টাকা। বাচ্চাদের খাবারেই টান পড়ছে। মাংস তো এখন স্বপ্ন।’ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাজার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বেশ কিছু স্থানে জরিমানা করা হয়েছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে এখনো তেমন কার্যকর পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে- সরকারকে বৃহৎ পরিসরে চাল আমদানি ও ওএমএস কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাতে হবে। কৃষকদের উৎসাহিত করতে সহায়তা ও ভর্তুকি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, যেন উৎপাদন বাড়ে। চাল সংরক্ষণের গুদাম ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের সমন্বিত পদক্ষেপ না থাকলে ভবিষ্যতে এই সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে ফজর নামাজের সময় মসজিদে নারকীয় তাণ্ডব, নিহত ২৭ সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি ১৯ ভোটারে একজন প্রার্থী রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে রুশ ট্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভয়াবহ হামলা যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ৩ কার্গো এলএনজি এআই ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার, দাবি বিএফআইইউর প্রধানের কলিং ভিসায় সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া নির্ধারিত দামের চেয়ে পাঁচ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে পাম অয়েল ডাকসু: ২২ ভোটারে একজন প্রার্থী বিএফআইইউ প্রধানের বিষয়ে তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক টেবিলে বসবেন পুতিন-জেলেনস্কি, এরপর ত্রিপক্ষীয় বৈঠক: ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই পুতিনকে ফোন করলেন ট্রাম্প ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি, কিন্তু এটা সবচেয়ে কঠিন: ট্রাম্প ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক, ইউরোপীয় নেতারা কে কী বললেন