কেন ইরান ছেড়ে যাচ্ছেন না দেশটির ইহুদিরা?

নিউজ ডেক্স
প্রকাশিতঃ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ
41 ভিউ

আরও খবর

সৌদিতে পতিতাবৃত্তির দায়ে ১২ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদিতে নারী চালকদের রাইড শেয়ারের সুযোগ দিতে যাচ্ছে উবার

একযোগে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা, নিহত ৬১

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের

সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক

কেন ইরান ছেড়ে যাচ্ছেন না দেশটির ইহুদিরা?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭:৪৬ 41 ভিউ
চলমান উত্তাজনাপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির মাঝেও ইরান ছেড়ে অন্য কোথায় চলে যাচ্ছেন না দেশটিতে বসবাসকারী ইহুদিরা। এ বিষয়ে ইসরাইলের একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ইরান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ইরানের ইহুদিরা দেশটির জাতীয় পরিচিত ও সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র গর্ব অনুভব করেন। যদিও পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচারের অংশ হিসেবে বলা হয় যে, দেশটির ইহুদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। তবে বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। কারণ ইরানের ইহুদিরা দেশটিতে বসবাসের কারণে এবং এখানে তাদের উত্তরাধিকার নিয়ে গর্ব অনুভব করেন। সম্প্রতি ইহুদিদের সংবাদ সিন্ডিকেট জেএনএস তাদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক বিষয়ে একটি স্মারক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে ইরান সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা থাকা সত্ত্বেও দেশটির বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থার সঙ্গে ইরানি ইহুদি সমাজের কোনো ধরনের উত্তেজনা নেই। ইরান বিষয়ক বিশিষ্ট ইসরাইলি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ডেভিড নিইসান গত ১৬ মাসে ইহুদি সমাজের নানা পরিবর্তনের আলোকে বলেছেন, ইরানের ইহুদিদের জাতীয় পরিচিতি ইরানের সঙ্গে যুক্ত, আর এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিইসানেরও জন্মস্থান ইরান এবং তিনি সেখানেই বেড়ে ওঠেন। ইরানে ইহুদিদের অবস্থা সম্পর্কে নিইসার আরও লিখেছেন, ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইহুদি চলে যায়। তা সত্ত্বেও ইরানের ইহুদি সমাজ পুরোপুরি তাদের ইহুদি ধাঁচের জীবনধারা রক্ষা করেছে এবং ইসলামি রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ওপর কোনো ধরনের অসুবিধা আরোপ করা হয়নি। ইরানে ইহুদিদের ৩০টি সক্রিয় সিনাগগ বা উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ইহুদি সমিতি বা সংস্থা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হয়নি এবং তারা স্বাধীনভাবে তাদের ইহুদি-জীবন-ধারা রক্ষা করছে। ইরানের সংবিধানে স্বীকৃত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে। এমনকি ইরানের সংসদ মজলিসে তাদের প্রতিনিধিত্বও রয়েছে। ইরানি ইহুদিদের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও গভীর শেকড় ইরানের ইহুদিদের রয়েছে দীর্ঘ দিনের ইতিহাস, যা আড়াই হাজার বছরের চেয়েও বেশি পুরোনো। তাদের শেকড় বেশ গভীর। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ইহুদি জনগোষ্ঠীগুলোর অন্যতম হলো ইরানি ইহুদি সমাজ। ইরানে বিভিন্ন সরকার বা রাজবংশের শাসনামলে ইহুদিরা দেশটির সমাজের অন্যতম অংশ হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে এবং তাদের অনেকেই ইরানের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবস্থানের অধিকারী। ধর্মীয় স্বাধীনতা ইরানের ইহুদিরা সব যুগে ও সব ধরনের সরকারের শাসনামলে দেশটির অন্যতম ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাও সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ইরানের ইহুদিরা দেশটির অন্যান্য সম্প্রদায় ও সংস্কৃতির সঙ্গে লেনদেন বজায় রেখেছে। তারা ইরানের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে এবং এখনো ইরানি সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইরানের ইহুদিরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মীয় পরিচিতি রক্ষা করাকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছে এবং ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে তথা শহর ও গ্রামে তারা এইসব স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেছে। ইরানের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশের কারণেই ইরানি ইহুদিদের অনেকেই দেশত্যাগ করছেন না বা মুহাজির হচ্ছেন না। মোটকথা, ইরানের ইহুদিরা কোনো ধরনের বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই ইরানে বসবাস করছে এবং তারা এই দেশটির ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বিবেচিত। উল্লেখ্য, ইহুদি ধর্মের নাম ভাঙিয়ে ও এই ঐশী ধর্মর বিকৃত ব্যাখ্যার আলোকে ফিলিস্তিনে জবরদখলের মাধ্যমে ইহুদিবাদী ইসরাইল গড়ে তুলেছে ইহুদিবাদীরা। এ কাজে তাদেরকে সহায়তা দিয়েছে উপনিবেশবাদী পশ্চিমা শক্তিগুলো ও বিশ্ব-সাম্রাজ্যবাদী আর আধিপত্যকামী মহল। এই শাসকগোষ্ঠী বিশ্বের যে কোনো অঞ্চল থেকে ইহুদিদের ইসরাইলে আসতে উৎসাহ যোগায় এবং সেখানে তাদের ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভনও দেখায়। কিন্তু এসব প্রলোভন সত্ত্বেও ইহুদিদের মধ্যে অনেকেই উগ্র ইহুদিবাদ বা বর্ণবাদী এই মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক প্রতিরোধের কারণে ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে ইহুদিবাদী ইসরাইল থেকে অনেকে ইহুদিই নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে, তথা বিপরীত অভিবাসন ক্রমেই বাড়ছে। সূত্র: ইরনা ও মেহের নিউজ

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জরায়ু ক্যান্সার কী, কেন হয় ও চিকিৎসা রোগব্যাধি থেকে আশ্রয় চেয়ে কী দোয়া পড়বেন শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় ফিফার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও এক ক্লাব নতুন মিশনে সন্দীপ্তা যে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ফাতিমা সৌদিতে পতিতাবৃত্তির দায়ে ১২ প্রবাসী গ্রেপ্তার সৌদিতে নারী চালকদের রাইড শেয়ারের সুযোগ দিতে যাচ্ছে উবার বৃষ্টি যেন সবজিচাষিদের কান্না হয়ে ঝরছে চুরি করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণ দুম্বার সংকর প্রজাতি উদ্ভাবন করলেন মেহেরপুরের খামারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ ব্যবসা সম্প্রসারণে কমলো নীতি সুদহার পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার যশোরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি মেরামতে সহযোগিতা দেবে ভার‍ত ওসি পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা সোনালি মুরগিতে ক্ষতিকর ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ১১ আগস্ট আবু সাঈদের আত্মত্যাগ দিয়ে গেল অনেক