বাকৃবিতে পুনরায় গেস্টরুম সংস্কৃতি চালুর অভিযোগ

বাকৃবিতে পুনরায় গেস্টরুম সংস্কৃতি চালুর অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ মে, ২০২৫ | ৬:২৪ 60 ভিউ
ছাত্র সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণে আবাসিক হলগুলোতে নবীন শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের যে সংস্কৃতি প্রচলিত ছিল, সেটিই মূলত ‘গেস্টরুম কালচার’ নামে পরিচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘদিনের নিপীড়নমূলক রাজনীতি ও গেস্টরুম সংস্কৃতি অনেকাংশে বন্ধ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মওলানা ভাসানী হলে (প্রস্তাবিত নাম, পূর্বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পুনরায় গেস্টরুম কালচার চালুর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট ও একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। অডিও ক্লিপে শোনা যায়, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ‘ভুলত্র“টি’ ধরিয়ে দিচ্ছেন এবং ‘আদব-কায়দা শেখানোর’ নামে বকাঝকা করছেন। ফেসবুক পোস্টে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়, প্রায় প্রতিদিন রাতে আমাদের গেস্টরুমে ডাকা হয়। সেখানে মানসিক চাপ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বর্ষের ১০ জন সিনিয়র ভাই গেস্টরুমে কথা বলতেন। তারা দাম্ভিকতার সুরে বলতেন, প্রশাসনও আমাদের কিছু করতে পারবে না। যদি কেউ গেস্টরুমের খবর বাইরে দেয়, তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। আরও বলা হয়, যদি আমাদের কথা না মানো, তাহলে হল থেকে বের করে দেওয়া হবে। তবে হলের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, অডিওটি কয়েক মাস আগের, যখন আন্তঃহল ইনডোর গেমস চলছিল। সে সময় গেমস আয়োজনের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে উপস্থিত থাকার জন্য ডাকা হয়েছিল। ওই হলের প্রথমবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রচলিত অর্থে নিয়মিত গেস্টরুম না হলেও কয়েকদিন ডাকার ফলে তারা কিছুটা মানসিক চাপ অনুভব করছেন। এ বিষয়ে ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শরীফ-আর-রাফি বলেন, র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতি রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে গেস্টরুমের ব্যাপারে আমি জানতে পারি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি আমার হলে টুর্নামেন্ট চলছিল, যার ফলে টিম মিটিং, ভলান্টিয়ার্স মিটিংয়ের কারণে কিছু ছাত্র গেস্টরুমে বসেছিল। সম্প্রতি আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গেস্টরুম সব সময় তালাবদ্ধ থাকবে এবং চাবিটি থাকবে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে। কেউ গেস্টরুম ব্যবহার করতে চাইলে খাতায় নাম লিখে অনুমতি নিতে হবে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জবিতে গবেষণাবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শিশুদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কি না, ইসলাম যা বলে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো: বিসিবি সভাপতি বুলবুল প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল উন্মোচন তুরস্কের নাটোরে সড়কে ৮ জন নিহত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেপ্তার চলাচল শুরুর আগেই খালে ভেঙে পড়ল ৬ কোটি টাকার সেতু রূপগঞ্জে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ শয্যায় পোড়া যন্ত্রণা, বাইরে প্রার্থনায় স্বজনদের বুকফাটা আহাজারি আধুনিক যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার ‘সাইবার তেলাপোকা’ চোখের সামনে তিন বন্ধু পুড়ে মারা গেল ‘গুলি করি, মরে একটা, একটাই যায় স্যার’ বলা সেই ডিসি বরখাস্ত দুর্ভিক্ষের কবলে মৃত্যুপুরী গাজা যান্ত্রিক ত্রুটি, চট্টগ্রামে ফিরে গেল বিমান ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩ সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা কমছে ক্ষুধায় পথে পথে পড়ে আছে মানুষ সাগরে লঘুচাপ বৃহস্পতিবার, সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ৩ ধাপ এগোল বাংলাদেশ