শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলির পর কোপাল দুর্বৃত্তরা

শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলির পর কোপাল দুর্বৃত্তরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:০৬ 25 ভিউ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে এবং কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে নগরের বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪০)। তার বাবার নাম আজিজুল ইসলাম। রবিউল আওয়ামী লীগের কর্মী। বাড়ি নগরের বিনোদপুর-মীর্জাপুর এলাকায়। তার ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনিও শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামি। নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, রাতে পঞ্চবটি এলাকায় রবিউলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া তাকে গুলিও করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। কয়েকজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে আবার মোটরসাইকেলেই চলে গেছে। ঘটনার পর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রবিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে তাকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। রাতে তার অস্ত্রোপচার চলছিল। রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে কোপানো হয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রবিউল ইসলামের নামে মোট পাঁচটি মামলা আছে। এরমধ্যে রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলারও আসামি তিনি। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাবি ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী নিহত হন। এ মামলায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ নিজ বাড়িতেই হামলার শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম। সেদিন কয়েকজন যুবক বাড়িতে ঢুকে শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেন এবং দুই পায়ের রগ কেটে দেন। তার বাড়িতে থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও মির্জাপুর নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল হোসেনও আহত হন। তাদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন। সেদিন মাইনুলকেও কোপানোর পাশাপাশি তার বাম হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সিরিয়ার গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২০ জনগণের বন্ধু হতে পারলেই পুলিশের কলঙ্ক মুছে যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগর ভবন খুলল ৪০ দিন পর, প্রশাসকের কক্ষে ‘তালা’ ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্ধকারাচ্ছন্ন ইসরাইল জীবনের সবচেয়ে ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতিতে খামেনি এই দেশগুলির বেশিরভাগ মুসলিম মেয়েই কুমারী তীব্র লড়াইয়ের লক্ষ্যবস্তুতে ‘তেহরান’ ইরান-ইসরাইল সংঘাত: যুদ্ধের বাটনে এআই চট্টগ্রামে করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু ইরানের পাল্টা হামলা: ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটছে ইসরাইলিরা খামেনির প্রতি ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সমর্থন শাহবাগ মোড়ে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবরোধ ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত শাবির দুই শিক্ষার্থী ৪ দিনের রিমান্ডে এবার হলিউড সিনেমায় শাকিব খান! দেশ ছাড়ার আগে যা বললেন মাহিয়া মাহি ইসরাইলে কেন এতো ভারতীয়, কী করেন তারা ইসরাইলি হামলায় ইরানের ৫ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত ভয়েস অব আমেরিকায় সর্বোচ্চ ছাঁটাই হানিমুনে গিয়ে স্ত্রী আটক, একাই ফিরলেন বর আমরা অত্যাচারিত হয়েছি কিন্তু হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি: রিজভী