
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ত্রাণের নামে মরণ ফাঁদ, ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি

অসুস্থ ও আহত যুদ্ধবন্দিদের বিনিময় করল রাশিয়া ও ইউক্রেন

বিক্ষোভের আগুনে পকেট গরম

ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী ও নিরাপত্তামন্ত্রীর ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন ট্রাম্পের

ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, গাজায় একদিনে প্রাণহানি আরও ৬০

লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার মেরিন সেনা পাঠালেন ট্রাম্প
নাগরিকদের নিরাপত্তায় পাকিস্তানকে যে প্রস্তাব চীনের!

চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসলামাবাদের ওপর বেইজিংয়ের ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে এর জেরে উভয় দেশের কূটনীতিক সম্পর্কে টানপোড়ন শুরু হয়েছে।
চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় এবার পাকিস্তানে সরাসরি চীনা সেনা মোতায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা ছাড়াও সন্ত্রাসবাদ দমনে একসঙ্গে অভিযান চালাতেও আগ্রহী চীন।
তবে দু দেশের মধ্যে এমন কোন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে এমন প্রস্তাবের কথা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে এশিয়ান নিউজ এইজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুরো বিশ্বে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অতীতের মত ভবিষ্যতেও বিভিন্ন দেশ পাকিস্তান সফরে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অর্থনীতির অধিকাংশই চীনের উপর নির্ভরশীল। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় চীন পাকিস্তানকে উল্লেখযোগ্য হারে সামরিক, অর্থনৈতিক, কূটনীতিক সহায়তা করে থাকে।
এ ছাড়াও পাকিস্তানে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রজেক্ট এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মতো বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্টসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছে। এদেরমধ্যে অধিকাংশই এসব প্রজেক্টের কর্মী হিসেবে কর্তব্য রয়েছে।
অতীতে পাকিস্তানে বিদেশি নাগরিকদের উপর হামলা হলেও ইদানীং কালে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছিলো তবে ২০২২ এর পর থেকে শুধু চীনা নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। ২০২২ থেকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২১ বারেরও বেশি সময় চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্চ ও অক্টোবর মাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সাত চীনা নাগরিক নিহত হয়। এর আগে ২০২১ সালে গাড়ি বিস্ফোরণে নয়জন চীনা নাগরিক নিহত হয়েছিল।
সম্প্রতি চীনে সরকারি সফরের সময় প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারি পাকিস্তানের কৌশলগত অংশীদারত্বের অটুট প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তার এই সফর হলো এমন এক সময়ে, যখন পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তা-সংকট চীন-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীলতাকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছে।
প্রেসিডেন্ট জারদারির দল বর্তমানে বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের ক্ষমতায় রয়েছে। এ কারণেও সফরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই প্রদেশেই সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন চীনা নাগরিকেরা। এসব হামলা চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকারকে প্রবল চাপের মুখে ফেলেছে।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।