মুসলিম একটি দেশে মৃত্যুদণ্ড ২৪৫, যাবজ্জীবন ৯৫৫

মুসলিম একটি দেশে মৃত্যুদণ্ড ২৪৫, যাবজ্জীবন ৯৫৫

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ জুলাই, ২০২৫ | ৮:৩২ 26 ভিউ
মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরাক। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মাদক সংক্রান্ত মামলায় ২৪৫ জন আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানকারীকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯৫৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। খবর শাফাক নিউজের। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে। ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেই মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগে ৩ হাজার ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৯৭৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ সময়ে নিরাপত্তা বাহিনী দুই টনের বেশি মাদক জব্দ করেছে। শুধু বাগদাদের আল-রুসাফা কেন্দ্রীয় তদন্ত আদালতের আওতায় দেড় টনের বেশি মাদক জব্দ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ চোরাচালান রুটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ইরাক। ফলে এটি এখন মাদক পাচারের কেন্দ্র ও বাজারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সিনথেটিক ড্রাগ বা কৃত্রিম মাদকের বাজার দিন দিন বাড়ছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর সম্প্রতি জানিয়েছে, ইরাকসহ এ অঞ্চলে ক্যাপটাগন ও মেথঅ্যামফেটামিন জাতীয় মাদকের জব্দকৃত পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে ইরাক সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা দেশের ভেতরে মাদক সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও জোরদার করছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও সিনথেটিক ড্রাগের সরবরাহ ও ব্যবহার ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকবিরোধী এ কঠোর অভিযানে ইরাকের বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং বিশেষ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইরাক একটি মুসলিম প্রধান দেশ। দেশটির জনসংখ্যার বিশাল অংশই মুসলমান, যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া মুসলিম এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুন্নি মুসলিম রয়েছেন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিক্রি, উৎপাদন ও চোরাচালান—সবই হারাম (নিষিদ্ধ) হিসেবে বিবেচিত। তাই ইরাকের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মাদকের বিরুদ্ধে আইন কঠোর এবং এ বিষয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও কঠোর অবস্থান রয়েছে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জবিতে গবেষণাবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শিশুদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কি না, ইসলাম যা বলে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো: বিসিবি সভাপতি বুলবুল প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল উন্মোচন তুরস্কের নাটোরে সড়কে ৮ জন নিহত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেপ্তার চলাচল শুরুর আগেই খালে ভেঙে পড়ল ৬ কোটি টাকার সেতু রূপগঞ্জে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ শয্যায় পোড়া যন্ত্রণা, বাইরে প্রার্থনায় স্বজনদের বুকফাটা আহাজারি আধুনিক যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার ‘সাইবার তেলাপোকা’ চোখের সামনে তিন বন্ধু পুড়ে মারা গেল ‘গুলি করি, মরে একটা, একটাই যায় স্যার’ বলা সেই ডিসি বরখাস্ত দুর্ভিক্ষের কবলে মৃত্যুপুরী গাজা যান্ত্রিক ত্রুটি, চট্টগ্রামে ফিরে গেল বিমান ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩ সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা কমছে ক্ষুধায় পথে পথে পড়ে আছে মানুষ সাগরে লঘুচাপ বৃহস্পতিবার, সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ৩ ধাপ এগোল বাংলাদেশ