
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নাটোরে সড়কে ৮ জন নিহত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

চলাচল শুরুর আগেই খালে ভেঙে পড়ল ৬ কোটি টাকার সেতু

রূপগঞ্জে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

যান্ত্রিক ত্রুটি, চট্টগ্রামে ফিরে গেল বিমান

ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩

আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, অতঃপর…

মধ্যরাতে শিবির-ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
পঞ্চগড়ে ছেলের গলায় ছুরি ধরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

পঞ্চগড় সদরে দুই বছরের ছেলের গলায় ছুরি ধরে এক গৃহবধূকে (২৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার তিন মাইল সুরিভিটা এলাকায় একটি চা বাগানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূ এবং তার সন্তানকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী নারী শনিবার বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দুজনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন। এর আগে, সকালে পুলিশ উপজেলার জগদল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। তারা হলো- জগদল বাজার এলাকার জনি ইসলাম (২৭) বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) এবং সাতমেড়া ইউনিয়নের বদিনাজোত এলাকার সাদেকুল ইসলাম (২৮)।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জুটমিল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শুক্রবার রাতে জুটমিল থেকে ইজিবাইকে চড়ে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে সদর ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তিনমাইল সুরিভিটা এলাকায় পৌঁছালে তার ইজিবাইকের পেছনে থাকা আরেকটি ইজিবাইকের পরিচিত চালক নাম ধরে ডাকতে থাকেন। পরে থামতেই তাকে জনিসহ ৬ জন সড়কের পাশের একটি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে তারা ছেলের গলায় ছুরি ধরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা আমার ছোট্ট ছেলের গলায় ছুরি ধরেছিল। তখন আমি নিরুপায় হয়ে পড়ি। চিৎকার করতে চাইলে আমাকে তারা ভয়ভীতি দেখায়। পরে একে একে ৬ জন আমাকে ধর্ষণ করে। চারজন পরিচিত আর দুজন অপরিচিত। আমি ধর্ষণের শিকার হলাম এখন আমার কাছের লোকজন আপোষের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবুল কাশেম বলেন, রাতে পুলিশ অবচেতন অবস্থায় একজন নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষার পরে জানা যাবে। আপাতত শারীরিকভাবে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, নারীর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানান। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।