নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক ইলন মাস্ক!
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল: বাতাস বাড়ার সাথে দেখা দিচ্ছে নতুন শঙ্কা
এবার মহাকাশে বাঁধ নির্মাণ করবে চীন
কানাডায় এক মাস পর বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ কন্যা ইস্যুতে তুমুল আলোচনায় পাকিস্তান
ইতালীয় সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েও সমালোচিত ইরান
চীনে আটকে পড়া ১৭৫ কোটি ডলারের জ্বালানি তেল নিয়ে অস্বস্তিতে ইরান
দুর্ঘটনা নয়, প্রিন্সেস ডায়নাকে মেরে ফেলা হয়!
প্রিন্সেস ডায়না। যিনি ছিলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পুত্রবধু। কিন্তু মন জয় করেছিলেন সমগ্র বিশ্ববাসীর। তিনি ছিলেন জনগনের রাজকন্যা। প্রিন্সেস ডায়না যারা চিনতেন।তারা সবাই তাকে আদর করতেন এবং তিনি যেখানেই যেতেন সেখানেই আলো ছড়িয়ে আসতেন। তিনি তার করুনা, দয়া এবং কমনীয়তার জন্য পরিচিত ছিলেন।
প্রিন্সেস ডায়না রহস্যময় সৌন্দর্যের মতো তার মৃত্যুটাও রয়েছে রহস্যে ঘেরা। তার এই মৃত্যু রহস্যের সঙ্গে বারবার ঘুরে আসে তার প্রেম, বিয়ে ও উদ্যাম জীবন যাপনের কথা।
এত অল্প বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যাওয়াকে জীবনের নিষ্ঠুরতা মনে করেন অনেকে। প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর খবর যখন ছড়িয়ে পড়ে। তখন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে তার মৃত্যুর খবর প্রথম ফাঁস হওয়ার পর সারা বিশ্বে শোকের মাতব চলছিলো। তার মৃত্যুর বিষয় আজও মানুষের হৃদয়ে দাগ কাটে।
১৯৯৭ সালে ৩০ আগষ্ট প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু হয়। সে সময় তদন্ত করে জানা যায়। পাপ্পবাজ্জিদের এড়াতে একটি টানেলে ঢুকে যায় গাড়িটি। প্রিন্সেস ডায়না সঙ্গে ছিলেন তার প্রাক্তন প্রেমিক মিশরীয় ব্যবসায়ী দোদি ফায়েদ। দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে প্রিন্সেস ডায়না। গাড়ির চালক ও প্রেমিক ঘটনার স্থলেই মারা যান। তাদের দেহরক্ষি গুরুতর আহত হন। নতুন করে প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর মোড় অন্য দিকে নিয়েছে। নতুন করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে এই মহীয়সী নারীর মৃত্যু গাড়ি দুর্ঘটনায় হয়নি।
বরং তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। জন হার্বার্ট কিং নামে এক ব্রিটিশ অবসরপ্রাপ্ত এমআই৫ গোয়েন্দা এমন তথ্য দিয়েছেছেন। যখন এই অসুস্থ গোয়েন্দা বেশিদিন আর বাঁচবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুনিয়া থেকে যাওয়ার আগে তিনি এই তথ্য দেন। তিনি এও বলেছেন, ডায়নার মৃত্যুর সময় যারা জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে মারা গেছেন। যে এই অপরাদের সাথে তিনি নিজে জড়িত ছিলেন বলেন স্বীকার করেছেন।
জন কিংস এখন ৮০ বছর বয়সি। তার জীবনের ৩৮ বছর গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করেছেন। তার প্রধান কাজ ছিলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করা। কিন্তু তার বস তাকে প্রিন্সেস ডায়না নির্মূল করতে বলেছিলেন। কারন, তিনি অনেক রাজকীয় গোপনীয়তা জানতেন। ব্রিটিশ পরিবারে ডায়নাকে নিয়ে ছিল অনেক ক্ষোভ। সে কারণে সবাই চেয়েছিলেন রাজপরিবারের স্বার্থ হলেও প্রিন্সেস ডায়নাকে মেরে ফেলতে হবে এবং এটিকে একটা দুর্ঘটনার মতো দেখাতে হবে।
অবসর প্রাপ্ত ঐগোয়েন্দা বলেন, এর আগে কখনো কোন নারীকে হত্যা করিনি। আমি শুধু আদেশ পালন করেছি। আমি রানী ও দেশের জন্য এটি করেছি। তবে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত কিং।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।