জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে ডুমুর গাছের দারুণ ম্যাজিক

জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে ডুমুর গাছের দারুণ ম্যাজিক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ জুলাই, ২০২৫ | ৮:১৭ 11 ভিউ
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় এক নতুন আশার কথা জানালেন সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইক রাউলি ও তার সহকর্মীরা। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশেষ কিছু ডুমুর গাছ বাতাস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে সেটিকে স্থায়ীভাবে পাথরে—অর্থাৎ ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে রূপান্তর করতে পারে। গবেষকরা পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়ার সামবুরু কাউন্টিতে তিনটি ভিন্ন প্রজাতির ডুমুর গাছ নিয়ে এই গবেষণা চালান। এতে দেখা গেছে, গাছগুলো শুধু শিকড় বা পাতায় নয়, বরং কাঠের গভীর স্তর ও আশপাশের মাটিতেও ক্যালসিয়াম কার্বোনেট জমা রাখছে। এর ফলে কার্বন দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে সংরক্ষিত থাকে এবং বাতাসে ফেরত যায় না। প্রকৃতপক্ষে, গবেষকরা গাছের কাঠে হালকা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ছিটিয়ে বুদ্‌বুদের মাধ্যমে নিশ্চিত হন সেখানে কার্বনেট রয়েছে। দেখা যায়, গাছের গভীরে চুনাপাথর ও চক তৈরি হয়েছে। এমনকি আশপাশের মাটিতেও মিলেছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের উপস্থিতি। গবেষণা দলের প্রধান রাউলি বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম, এই প্রক্রিয়া গাছের পৃষ্ঠতলে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম, কাঠের গভীর স্তরেও এই পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের প্রক্রিয়ায় বাতাসের অতিরিক্ত কার্বন গাছের দেহ ও মাটিতে স্থায়ীভাবে আটকে যায়। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায় এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এটি অক্সিজেন ও কার্বনের প্রাকৃতিক চক্রেরও অংশ। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে এ ধরনের গাছ রোপণ করা গেলে পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। শুধু পরিবেশ নয়, ডুমুর গাছ খাদ্যের উৎস হিসেবেও মানুষের উপকারে আসে। ফলে এটি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সহায়ক হতে পারে। তবে গবেষকরা সতর্ক করে জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে তা নির্ভর করছে আরও গবেষণা ও দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণের ওপর। বিশেষ করে জলবায়ু, পানি ব্যবস্থাপনা ও গাছের জীবনীশক্তি—সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবুও, বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। প্রকৃতিনির্ভর এই সমাধান জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এক নতুন দিশা দেখাতে পারে। তথ্যসূত্র : নিউ সায়েন্টিস্ট

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জবিতে গবেষণাবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শিশুদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কি না, ইসলাম যা বলে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো: বিসিবি সভাপতি বুলবুল প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল উন্মোচন তুরস্কের নাটোরে সড়কে ৮ জন নিহত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেপ্তার চলাচল শুরুর আগেই খালে ভেঙে পড়ল ৬ কোটি টাকার সেতু রূপগঞ্জে কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ শয্যায় পোড়া যন্ত্রণা, বাইরে প্রার্থনায় স্বজনদের বুকফাটা আহাজারি আধুনিক যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার ‘সাইবার তেলাপোকা’ চোখের সামনে তিন বন্ধু পুড়ে মারা গেল ‘গুলি করি, মরে একটা, একটাই যায় স্যার’ বলা সেই ডিসি বরখাস্ত দুর্ভিক্ষের কবলে মৃত্যুপুরী গাজা যান্ত্রিক ত্রুটি, চট্টগ্রামে ফিরে গেল বিমান ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩ সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা কমছে ক্ষুধায় পথে পথে পড়ে আছে মানুষ সাগরে লঘুচাপ বৃহস্পতিবার, সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ৩ ধাপ এগোল বাংলাদেশ