সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ জুলাই, ২০২৫ | ৫:৫৭ 33 ভিউ
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর দিতে যাচ্ছে সরকার। উচ্চ আদালতের আদেশের পর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ না থাকায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক। অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাকি কাজ সম্পন্ন করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে দ্রুতই সকল প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে উন্নীত হবেন। শনিবার অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে দেশের সকল উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষযটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে এই পদোন্নতিকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, শিক্ষকদের এই ধরনের বিপথগামী চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া থেকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এই চিঠি জারি করা হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্মতি প্রদান করে। বাকি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন সরকার। কিন্তু পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়, যা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তৎকালীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন এবং পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ভোটযুদ্ধে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস ইসরাইলের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করল সিরিয়া উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ ১০ কারণে দারিদ্র্য বৃদ্ধি ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সংকটাপন্ন ৫ ব্যাংকে ভুগছে তৈরি পোশাক খাত গাজায় একদিনে নিহত আরও ৬৪, ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ১৩ জনের দেশজুড়ে দখল–চাঁদাবাজি নতুন বন্দোবস্তের জন্য অশনি সংকেত: টিআইবি কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার ৫০০ উইকেট নিয়ে টি২০তে অনন্য রেকর্ড সাকিবের রোজ ঘি খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? বেশি আয়ের চাকরি পেতে ৩ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন ঘরে বসেই স্কয়ার গ্রুপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বন্যায় সরানো হলো ১৯ হাজার মানুষকে একাধিক দেশে ইরানের অস্ত্র কারখানা এবার শিকাগোতে সেনা পাঠাবেন ট্রাম্প কোলেস্টেরল কমাবেন কীভাবে কোলেস্টেরল বেড়েছে কীভাবে বুঝবেন প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত, নতুন এসেছে সোয়া লাখ রোহিঙ্গা ‘৫ আগস্ট ঘটিয়েছে কালো শক্তি জামায়াত’- বক্তব্যের জেরে ফজলুর রহমানকে শোকজ