ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছে লুইজিয়ানার আদালত

নিউজ ডেক্স
প্রকাশিতঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
7 ভিউ

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছে লুইজিয়ানার আদালত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:১৩ 7 ভিউ
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছে লুইজিয়ানার এক অভিবাসন আদালত। আদালতের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে খলিলের উপস্থিতি ‘পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে’। তাই তাকে দেশছাড়া করা যেতে পারে। বিচারক জ্যামি ই. কোমানস বলেছেন, ‘সরকার পরিষ্কার ও শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করেছে যে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়ানো যাবে।’ খলিলের আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট অবশ্য জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তিনি বলেন, ‘তাই এখনই কিছু হচ্ছে না।’ শুক্রবারের শুনানির শেষে খলিল বলেন, ‘আপনি আগেই বলেছিলেন, এই আদালতের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার। কিন্তু আজ যা দেখলাম, এই প্রক্রিয়ার কোথাও এসব ছিল না। ট্রাম্প প্রশাসন এজন্যই আমাকে আমার পরিবার থেকে হাজার মাইল দূরের এই আদালতে পাঠিয়েছে।’ আইনজীবী ভ্যান ডার হাউট বলেন, ‘আজ আমরা যা দেখলাম, সেটি ছিল ন্যায়বিচারকে তামাশায় পরিণত করার দৃশ্য। তার অধিকার যে লঙ্ঘিত হচ্ছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ ছিল এটি। মতপ্রকাশ দমনের উদ্দেশ্যে অভিবাসন আইনের অপব্যবহার হয়েছে এখানে।’ খলিল একজন বৈধ মার্কিন বাসিন্দা। গত ৮ মার্চ নিউইয়র্কে তার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত অ্যাপার্টমেন্টের লবিতে তাকে আটক করে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তারপর একদিনের মধ্যে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় লুইজিয়ানার জেনা শহরের অভিবাসন ডিটেনশন সেন্টারে। তার স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক এবং তিনি শিগগিরই মা হবেন। খলিলের আইনজীবীরা বলছেন, তাকে আটকের সিদ্ধান্ত প্রথম সংশোধনীর অধীনে থাকা বাকস্বাধীনতাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলছেন, পুরোনো আইনের মাধ্যমে খলিলকে তাড়ানোর অধিকার সরকারের আছে। এই আইন অনুযায়ী, যাদের কারণে পররাষ্ট্রনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাদের বহিষ্কার করা যায়। আদালতে ভ্যান ডার হাউট বলেন, ‘সরকারের যেসব প্রমাণ আদালতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট যে এর পেছনে পররাষ্ট্রনীতি নয়, বরং মতপ্রকাশের কারণে তাকে তাড়াতে চায় সরকার।’ খলিল সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া এক ফিলিস্তিনি। তার পরিবার তিবেরিয়াস শহর থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ হওয়ার পর সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে গত বছর যেসব ছাত্ররা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছিল, তাদের মধ্যে খলিল ছিলেন মুখপাত্র ও আলোচক। তিনি কোনো আইন ভাঙেননি এবং ভবনের দখলে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তার খোলা মুখে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ও নিজের নাম প্রকাশ করায় তাকে অনেকেই হামাসপন্থী ও ইসরায়েলবিরোধী বলেছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘খলিল সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলছেন।’ যদিও তারা এই দাবির পক্ষে এখনো কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির ফেডারেল আদালত সরকারকে বলেছে, আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত খলিলকে বহিষ্কার করা যাবে না। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং এর মেডিকেল সেন্টার থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান কেটে নিচ্ছে। কারণ তারা মনে করে, ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ হয়েছে। কিছু ইহুদি ছাত্র ও শিক্ষক বলছেন, আন্দোলনের সময় তারা হয়রানি বা একঘরে হওয়ার শিকার হয়েছেন। সরকার এর আগেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে যারা ইসরায়েলের সমালোচনা করেছিলেন। একজন অধ্যাপককে তাড়ানো হয়েছে, কারণ তিনি হিজবুল্লাহ নেতার জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।

বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ঢাকাই সিনেমায় দর্শক গ্রহণযোগ্য চাহিদাসম্পন্ন নায়িকার সংকট রয়েছে ক্যাটরিনার মন ভেঙে দেন বলিউডের এ জনপ্রিয় অভিনেতা স্পাইডারম্যান-এ অভিনয় করতে চেয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী, দেওয়ার মতো রক্তও নেই শরীরে কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় যা বললেন ট্রাম্প রাশিয়ার দখলে নেওয়া প্রায় সব এলাকাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার শান্তি প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্র ১১ রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করল আরব আমিরাত রাজনীতিতে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে অদৃশ্য শক্তি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ, সালাউদ্দিন তানভীরের অপকর্ম ফাঁস জবাবদিহিতা না থাকলে ইসিতে ফেরেশতা বসিয়ে ভালো নির্বাচন হবে না ফরিদপুর থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত যাবে ৬ লেনের মহাসড়ক পাবনায় ৬ মাস আটকে রেখে বানানো হয় প্রতিবন্ধী ,নখ উপড়ে, ছ্যাঁকা দিয়ে পঙ্গু করে ভিক্ষাবৃত্তি ফতুল্লায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি জুটের গোডাউন ও গেঞ্জির কাপড়ের ছাপাখানা পুড়ে ছাই গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরোধিতার নাম সংস্কার নয়: মিজানুর রহমান আজহারী বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিদেশী বিনিয়োগ চান প্রধান উপদেষ্টা মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আরব সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পহলেগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ পর্যটক শেষ হইয়াও হইল না শেষ