
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী

‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার তিনজন কারাগারে
জ্বালানি খাত পুনর্গঠনে আজারবাইজানের সহায়তা চায় সিরিয়া

এবারের অ্যান্টালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের পার্শ্ববৈঠকে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করলেন সিরিয়া ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টরা। সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের এই বৈঠকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার তেল ও গ্যাস খাত পুনর্গঠনে আজারবাইজানের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে মিডল ইস্ট আই-কে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
সূত্র জানায়, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থিত বেশিরভাগ তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, নতুন সিরীয় সরকার সেখানে আজারবাইজানের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান সোকার-এর অংশগ্রহণে উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে।
চলতি মাসের শুরুতে সোকার তুরস্ক শাখার প্রধান এলচিন ইবাদোভ ইঙ্গিত দেন, যদি আজারবাইজান ও তুরস্কের যৌথ কৌশলগত স্বার্থে সিরিয়ার জ্বালানি খাতে তাদের ভূমিকা থাকে, তবে প্রতিষ্ঠানটি এতে অংশ নিতে প্রস্তুত।
গত মার্চে এসডিএফ নেতা মাজলুম আবদি ও প্রেসিডেন্ট শারা একটি ঐক্যমত্য চুক্তি সই করেন, যাতে ওই তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সিরীয় সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও বাস্তবে এখনো কেন্দ্র সরকার এসব ক্ষেত্রের পূর্ণ দখল নিতে পারেনি।
সিরিয়ার নতুন সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, উৎপাদিত আয়ের ৭০ শতাংশ যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে এবং ৩০ শতাংশ ব্যয় হবে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে।
এক তুর্কি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আই-কে জানান, সিরিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে উঠলে তা ইসরাইলের আশঙ্কা কিছুটা প্রশমিত করতে পারে, বিশেষত নতুন সিরীয় সরকারকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করার পটভূমিতে।
উল্লেখ্য, ইসরাইল সম্প্রতি সিরিয়ার তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যাতে তুরস্কের বাহিনী এগুলো দখল না করে ফেলে—এই আশঙ্কা থেকেই আজারবাইজানে তুর্কি ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিকনফ্লিকশন বৈঠকও হয়।
সিরিয়ার সংবাদমাধ্যম এনাব বালাদি জানায়, দেশটি বর্তমানে দৈনিক ১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করছে, যার মধ্যে ১ লাখ ব্যারেলই আসে এসডিএফ-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে। যুদ্ধের আগে, ২০১০ সালে এই উৎপাদন ছিল দৈনিক ৩ লাখ ৮৫ হাজার ব্যারেল।
গ্যাস উৎপাদনও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ৯.১ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে, যেখানে ২০১০ সালে এই হার ছিল ৩০ মিলিয়ন ঘনমিটার। নতুন সরকার উৎপাদন করছে ৮ মিলিয়ন ঘনমিটার এবং বাকিটা এসডিএফ-এর দখলে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে যুদ্ধের সময় দেশ ছেড়েছিল ১১টি বড় তেল কোম্পানি, যারা এক সময় সিরিয়ার মোট তেল উৎপাদনের ৪৯.৬ শতাংশের জন্য দায়ী ছিল।
তবে চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য সিরিয়ার জ্বালানি খাতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে।
একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল লাইসেন্স ২৪ জারি করে, যার আওতায় নতুন প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ছয় মাসের জন্য লেনদেন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে পেট্রোলিয়াম, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, সংরক্ষণ এবং ক্রয়-বিক্রয় অনুমোদিত হয়েছে। তবে লাইসেন্সটি আগামী ৮ জুনে শেষ হয়ে যাবে, যদি না তা নবায়ন করা হয়।
এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল শুক্রবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সিরীয় সরকারের ওপর আরও কঠোর শর্তারোপ করছে, যেমন— কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান ও ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর বহিষ্কার।
এই প্রেক্ষাপটে সিরিয়ার নতুন সরকার চাইছে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করতে—এবং আজারবাইজানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলে জ্বালানি খাতকে কেন্দ্র করে তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে।
বর্ণমালা টেলিভিশন এর সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।